প্রভাত ডেস্ক : ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার এক হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের শীর্ষ কমান্ডার অলেক্সান্ডার সিরস্কি। এক বিবৃতি তিনি বলেন, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে এই অভিযান অব্যাহত রাখবে ইউক্রেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধে সবচেয়ে বড় আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের পর এমন দাবি করলেন সিরস্কি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর এই প্রথম পাল্টা আক্রমণ হিসেবে রাশিয়ার এতটা ভেতরে ঢুকেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
গত মঙ্গলবার থেকে ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে কুরস্কের ৩০ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেনীয় সেনারা। তারপর থেকেই তাদের আশ্চর্য আক্রমণ শুরু হয়। এই আক্রমণ ইউক্রেন সেনাদের মনোবল বাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, কৌশলটি ইউক্রেনের জন্য নতুন বিপদ ডেকে আনতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্রিটিশ সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এই আক্রমণের ফলে মস্কো এতোটাই ক্ষুব্ধ হবে যে ইউক্রেনের অবকাঠামো ও জনসংখ্যার ওপর হামলা দ্বিগুন করতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া অন্যদের দুয়ারে যুদ্ধ এনেছিল। এখন এই যুদ্ধ আবার রাশিয়ায় ফিরে যাচ্ছে। এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই আক্রমণকে প্রধান উসকানি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। রুশ বাহিনীকে নিজেদের ভূখ- থেকে শত্রুকে লাথি মেরে তাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অবশ্য ইউক্রেনের আগ্রাসনের মুখে রুশ সরকার দেশটির পশ্চিমা অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সরিয়ে নিয়েছে। আরও ৫৯ হাজার জনকে শিগগিরই এলাকা ছাড়তে বলেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় গভর্নর বলেন, রাশিয়ার কুরস্ক এলাকার প্রায় ২৮টি গ্রাম বর্তমানে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে। এ পর্যন্ত ১২ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন এবং পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত কঠিন। তিনি পুতিনকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া অংশে এখনও প্রায় দুই হাজার রাশিয়ান রয়ে গেছে। তাদেরকে বেসমেন্টে আশ্রয় নেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে ইউক্রেন সেনাদের অভিযান অব্যাহত থাকায় কুরস্কের পাশের অঞ্চল বেলগোরোদের অন্তত ১১ হাজার মানুষকে এলাকা ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।