প্রভাত স্পোর্টস : আয়োজক স্বত্ব অনুসারে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা বাংলাদেশের। অন্তর্র্বতী সরকার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে বিকল্প ভেন্যুর কথা ভাবছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়েছে, ২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে আগ্রহী জিম্বাবুয়ে। এ ছাড়া বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আলোচনায় আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নামও। ২০ আগস্ট আইসিসি বোর্ডে ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
নবমবারের মতো অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে ১০টি দল। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত নেই, জিম্বাবুয়েও নেই। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে জিম্বাবুয়ে বেশ কিছু বিষয় নিজেদের অনুকূলে দেখছে। ২০১৮ ও ২০২৩ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব আয়োজন করেছে দেশটি। সামনে ২০২৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক তারা। এ ছাড়া বেশি দর্শকের উপস্থিতি এবং আয়োজনে কম অর্থ খরচের দিক থেকেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের চেয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখছে জিম্বাবুয়ে। তবে আরব আমিরাত ও জিম্বাবুয়ের তুলনামূলক সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় আসবে বিসিবি-আইসিসি সমঝোতায় ব্যর্থ হলে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়াবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে টিকে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। বিসিবিও আইসিসির কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বাড়তি সময় নিয়েছে, যা মঙ্গলবার শেষ হতে চলেছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে-পরে ঘটা অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বা বাড়তি সতর্কতা আরোপ করেছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড ও ভারতের মেয়েদের ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কথা।