প্রভাত ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পপ তারকা টেলর সুইফটের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে টেইলর সুইফট নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ট্রাম্পকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রুথ সোশ্যালে গত রোববার টেলর সুইফটের ছবিসহ আরও কিছু ছবি পোস্ট করেন ট্রাম্প। ওই ছবিগুলো এক্সের (সাবেক টুইটার) স্ক্রিনশট। যেখানে দেখা যায়, সুইফট লাল, সাদা ও নীল রঙের পোশাক পরে আছেন। ক্যাপশনে লেখা, টেলর সুইফট চান আপনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেন ট্রাম্প ওই পোস্টে লিখেছেন, আমি স্বাগত জানাই! আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে।
সুইফটের অনেক ভক্ত এবং কয়েকটি নজরদারি গ্রুপ বলেছে, ট্রাম্প যেসব ছবি পোস্ট করেছেন সেগুলোর বেশির ভাগই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি। এ বিষয়ে টেলর সুইফটের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রয়টার্স। তবে ওই মুখপাত্র কোনো উত্তর দেননি। এবারের নির্বাচনে সুইফট এখনো প্রকাশ্যে কাউকে সমর্থন দেননি। তবে ২০২০ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর রানিং মেট কমলাকে সমর্থন দিয়েছিলেন। সে বছর একটি তথ্যচিত্রে ট্রাম্পের সমালোচনাও করেছিলেন সুইফট।
গত সোমবার থেকে শিকাগোতে ডেমোক্রেটিক দলের চার দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনের যেকোনো দিন ডেমোক্রেটিক দল থেকে নভেম্বরের নির্বাচনের জন্য তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলার নাম ঘোষণা করা হবে। টেলর সুইফট ছাড়াও আরও কয়েকজন নারীর ছবি পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। তিনি যেসব ছবি পোস্ট করেছেন সেগুলোয় নারীরা সুইফটিস ফর ট্রাম্প লেখা টি–শার্ট পরে আছেন।
ব্যঙ্গাত্মক একটি প্রতিবেদনও পোস্ট করেছেন ট্রাম্প। প্রতিবেদনের শিরোনাম আইএসআইএস টেলর সুইফটের কনসার্ট ভেস্তে দেওয়ায় সুইফটিরা ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন। প্রতিবেদনটির শিরোনামের ওপরে লেখা ‘স্যাটায়ার’(ব্যঙ্গাত্মক)। একটি হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়া হয়েছে, কর্তৃপক্ষ এমন বক্তব্য দেওয়ার পর এ মাসে ভিয়েনায় তিনটি কনসার্ট বাতিল করেছেন সুইফট। এই প্রেক্ষাপটে এমন ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ১৯ বছর বয়সী স্থানীয় এক তরুণকে গ্রেপ্তারও করেছে। ওই তরুণ ইসলামিক স্টেটের মতাদর্শে বিশ্বাসী।
সুইফটের ছবি ব্যবহারের বিষয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরের মুখপাত্র স্টিভেন চেউংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, সুইফটিস ফর ট্রাম্প একটি বড় আন্দোলন, যা প্রতিদিনই আরও বড় হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার দল পাবলিক সিটিজেন বলেছে, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হয়, ট্রাম্পের এই পোস্ট তার আরেকটি উদাহরণ। এ ধরনের ভুয়া তথ্য নির্বাচনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।