প্রভাত রিপোর্ট : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে গত বুধবার ১৩টি, মঙ্গলবার ১০টি, সোমবার ৬টি, রবিবার ৫টি এবং এর আগে আরও ৯টিসহ এই পর্যন্ত মোট ৫১টি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। এর আগে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসও জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ৩৩। গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ নিয়ে (বুধবার) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা হয়েছে। যার মধ্যে ২৭টি হত্যাকা-ের। বাকী চার মামলা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার জন্য করা হয়েছে। এছাড়া গুমের অপরাধে করা হয়েছে একটি মামলা। এ সকল মামলায় আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা, গুম-অপহরণসহ রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র, মোহাম্মদপুর থানায় একজনকে, সাভারে হকার, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি নেতাসহ দুজন, ফতুল্লায় আন্দোলনকারী ফয়সাল, গাজীপুরে হকার আরিফ বেপারি হত্যা, বগুড়ার শিবগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিকে অপহরণের পর হত্যা ও রাজধানীর উত্তরায় এক আইনজীবীকে গুম-অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এসব মামলা হয়েছে।