প্রভাত রিপোর্ট : সহসা বিদ্যুৎ বা গ্যাসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন না বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। তিনি বলেন, এগুলোর দাম নির্ধারণের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত ডিস্ট্রিবিউটর বা এনটিটি যদি দাম বাড়াতে চায় তাহলে নির্ধারিত একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে খোয়াই অববাহিকায় বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিয়ে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও বন্যার্তদের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন জালাল আহমেদ। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন।
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, অনেকগুলো কুইক রেন্টাল একাধিকবার নবায়ন করা হয়েছে। কুইক রেন্টালগুলো করা হয়েছিল প্রথমে তিন বছরের জন্য। এরপর অনেকগুলোরই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সবগুলোর ক্ষেত্রে হয়তো পুনরায় মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন নাও হতে পারে। কুইক রেন্টালের মূল্য পরবর্তী চুক্তিগুলোতে খুব একটি কমেনি। এ বিষয়টিও পরীক্ষা করা হবে বলে আমার বিশ্বাস।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আইনি ক্ষমতা দেয়া ছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি)। পরে বিইআরসি থেকে আইন সংশোধনের মাধ্যমে ক্ষমতাটি মন্ত্রণালয়ের হাতে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এরইমধ্যে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেছেন, এ ক্ষমতাটি রহিত করা হয়েছে। এখন আইন সংশোধনের মাধ্যমে পুনরায় এটি বিইআরসিতে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। বিইআরসি এখন পূর্ণ ক্ষমতা নিয়েই কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তাহমিনা বেগম গিনির সভাপতিত্বে ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশের ডিআইজি এজাজ আহমেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফয়েজ আহমেদ, অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক জাহানারা খাতুন, অধ্যাপক ইলিয়াছ বখ্ত চৌধুরী জালাল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিগার সুলতানা, প্রেসক্লাব সভাপতি রাসেল চৌধুরী, শিক্ষার্থী আলভিনা আহমেদ প্রমুখ।