বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Proval Logo

১০ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তার তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

প্রকাশিত - ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪   ০৮:৩৩ পিএম
webnews24

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা কর্মচারীর তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনÑ দুদক। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুদককে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গতকাল বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। কয়েকটি মিশন থেকে রাষ্ট্রদূতদের ফেরত আসতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চুক্তিভিত্তিক যারা ছিলেন তাদের সবাইকেই রিকল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন অ্যাডমিন ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা, গতকাল তাদের চুক্তি বাতিল করে দেয়া হয়েছে। বাকিদের আমরা চার সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম। তারা সবাই চলে আসবেন। রিপ্লেসমেন্টে কিছুটা সময় লাগবে। হুট করে তো হবে না। এটা ভেবেচিন্তে দিতে হবে, অভিজ্ঞ যারা আছেন।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৩৮ কর্মীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমেছে কমিশন। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ফিলিপিন্স ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সেলর, প্রধান কনস্যুলার পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়েছে দুদক। কমিশন বলেছে, সুষ্ঠু তদন্ত কাজের স্বার্থে এই কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মকর্তাদের ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের আগের কর্মস্থল, দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ও ওই সময়ের পদবিরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে দুদক। 
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা আজকের পত্রিকায় আমি প্রথম দেখলাম। এখানে কিছু কনফিউশান থাকতে পারে, সেগুলো আমরা দূর করবো। অডিট অবজেকশন এবং দুর্নীতি এক জিনিস না। একটি ছোট উদাহরণ দেই। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন কলকাতা মিশনের একটি গাড়ি কেনা হয়। এর চেয়ে অনেক ছোট গাড়ি দিল্লিতে কম দামে কেনা গেছে। অ্যাডভান্স দেয়া হয়েছে এজেন্টকে, এজেন্ট মানে দালাল। আসলে গাড়ির কোম্পানির এজেন্ট ওরা। অভিযোগ এসেছে যে দালালকে দেওয়া হয়েছে চার লাখ টাকা সেটা আদায়যোগ্য। অবজেকশনটা আমার বিরুদ্ধে। এটা আমি কেন দিলাম, আমার কাছ থেকে নাকি এ টাকা আদায়যোগ্য হবে। মিশন অডিটের ডিজিকে বললাম গাড়ি কিনতে হলে বুকিং দিতে হয়, সেজন্য আগাম কিছু টাকা দিতে হয়। অডিট অবজেকশন অনেকসময় এরকম হয়। সেগুলোকে দুর্নীতি হিসেবে দেখা হচ্ছে কি না দেখতে হবে। কারণ অভিযোগের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এগুলো অনেকগুলো অডিট অবজেকশনের ফলাফল। অডিট অবজেকশন আর দুর্নীতি এক জিনিস না। আমরা দেখবো। দুদককে সহযোগিতা করার বিষয়ে তিনি বলেন, সহযোগিতা তো অবশ্যই করবো। আমরা তো চাই না কোনো দুর্নীতি হোক। কাজেই যেটুকু সহযোগিতা চাইবে আমরা করবো, দেখতে হবে দুর্নীতি হয়েছে কি না। সেটা দেখে সেভাবে সহযোগিতা করবো।
এ বিষয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলবো না যতক্ষণ প্রতিটা কেইস আমি ডিটেইলস দেখবো। অনেকে অতি উৎসাহিত হয়ে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করছেন, এটি তেমন কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা হতেই পারে, সবসময়ই হয়। এটা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন