প্রভাত স্পোর্টস : বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগেই তিনি দেশ ত্যাগ করেছিলেন। এরপরও তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন তাকে অপসারণ করতে পারেননি। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ১ সেপ্টেম্বর দাবা, কাবাডি ও ব্রীজ ফেডারেশনের সভাপতিকে অপসারণ করেছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এক অফিস আদেশে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ এট ২২ ধারা মোতাবেক এই তিন সভাপতিকে অপসারণ করেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে অনেক দিন থেকেই কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি মনোনীত করে আসছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন পুলিশের সাবেক মহাপরির্দশক আব্দুল্লাহ আল চৌধুরি মামুন। ব্রীজ ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন আমলা জাহাঙ্গীর আলম।
ফুটবল, ক্রিকেট বাদে দেশের প্রায় সকল ফেডারেশনের সভাপতি সরকার মনোনীত। তাই দেশের অনেক ফেডারেশনের সভাপতি ক্ষমতাসীন সরকারের পছন্দের ব্যক্তি। তাই ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে অনেক ফেডারেশনের সভাপতি নিখোঁজ আবার অনেকে নিষ্ক্রিয়। অ্যাথলেটিক্স, সাইক্লিং,মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, ভলিবল,উশু সহ বেশ কয়েকটি ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সংকটে ভুগছে।
ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার মনোনীত। তাই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৩ ফেডারেশনের সভাপতিকে সরাসরি অপসারণ করেছে। কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পুলিশের সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ছিলেন নির্বাচিত। তাই তাকে মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি অপসারণ না করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরকারি নির্দেশনার আলোকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইনের মাধ্যমে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করেছে।