প্রভাত স্পোর্টস : তরুণ আর অভিজ্ঞদের মিশেলে গড়া স্পেন দল দুর্দান্ত সময় পার করছে। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগে থেকেই দে লা ফুয়েন্তের দলটি ছিল শক্ত ফেবারিটদের একটি। এবার আরেক ফেবারিট ও আয়োজক জার্মানিকে বিদায় করে সে কথা স্পেন আরেকবার প্রমাণ করেছে। ২-১ গোলের জয়ে তারা উঠেছে ইউরোর সেমিফাইনালে। তবে তাতেও স্বস্তির সুযোগ নেই, কারণ কার্ড ও ইনজুরিজনিত কারণে স্প্যানিশরা সেমিতে ন্যূনতম তিন তারকাকে পাচ্ছে না। গতকাল ইউরোর কোয়ার্টারে স্পেন-জার্মানি মুখোমুখি হলেও, ম্যাচটি ছিল ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল। শক্তিমত্তা ও ফর্মের বিচারে দুই দলই ছিল শক্তিশালী। তবে স্বাগতিক কোনো দলকে নকআউট ম্যাচে না হারানোর তিক্ত এক রেকর্ড নিয়ে জার্মানির স্টুটগার্ডে হাজির হয়েছিল স্পেন। আর জার্মানি এসেছিল ঘরের মাঠের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে। বারেবারে বদলালো সেই ম্যাচের রং। ৫০ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। এরপর শেষ সময়ের গোলে জার্মানি ফেরে সমতায়।
কিন্তু ফ্লোরিয়ান ভির্টজের দুর্দান্ত সেই গোলটা ম্লান হয়ে গেল অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে এসে। ঘড়ির কাঁটায় সময় যখন ১১৯ মিনিট, তখনই আবার স্কোরশিটে পরিবর্তন। সেই দানি ওলমোর অবদান মিশে থাকল এবারেও। দুর্দান্ত এক ক্রস। আর তাতে মাথা ছুঁয়ে গোল পেলেন মিকেল মোরেনো। স্পেনের ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয় গোল। তাতেই দলকে নিয়ে গেলেন ইউরোর সেমিফাইনালে। ২-১ গোলের জয়ে আরও একবার জার্মানির হৃদয় ভাঙল স্প্যানিশরা।
কিন্তু ম্যাচটিতে মাত্র অষ্টম মিনিটেই অনাকাঙ্ক্ষিত এক ফাউলে মাঠ ছাড়েন পেদ্রি। টনি ক্রুসের করা সেই মারাত্মক ট্যাকল তাকে এবারের ইউরো থেকে ছিটকে দিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাঁ পায়ের চোট থেকে সেরে উঠতেও সময় লাগতে পারে এই বার্সেলোনা মিডফিল্ডারের। সবমিলিয়ে সেমিতে স্পেন তাকে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি! যদিও ম্যাচ শেষে স্পেনের জয়ে দুটি গোলে অবদান রাখা দানি অলমোর আশা সেমির আগেই সেরে উঠবেন পেদ্রি।
প্রভাত/টুর