প্রভাত রিপোর্ট :সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল এবং ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র বহালের দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর ব্যস্ততম এ সড়কটি দীর্ঘ এক ঘণ্টা অবরোধের ফলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁতিবাজার এলাকায় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে গুলিস্তানে দিকে চলে আসেন আন্দোলনকারীরা। পরে বংশালে ফের পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলকারীরা জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন।
শফিকুল নামে এক পথচারী বলেন, ঢাকার যানজটে এমনিতেই আমরা অতিষ্ঠ। এর মধ্যে আবার সড়ক অবরোধ করে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারকে বলব অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান। আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের একটু স্বস্তি দেন।
রফিকুল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, ব্যবসায়িক কাজে চিটাগাং রোড থেকে কারওয়ান বাজার যাচ্ছিলাম। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। ওইদিক দিয়ে আবার শাহবাগ মোড়ও ব্লক। বাধ্য হয়ে এখন চিটাগাং রোডে ফিরে যেতে হচ্ছে। কিন্তু ফিরে যাওয়ার গাড়িও পাচ্ছি না।
সচিবালয়ের অপর এক কর্মচারী জায়েদা বেগম বলেন, অফিস থেকে বের হয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চাঁনখারপুল যাওয়ার কোনো বাস পেলাম না। অল্প সময়ে শিক্ষার্থীদের জিপিও মোড় ছেড়ে যাওয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে হেঁটেই রওয়ানা হচ্ছি।
সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে আন্দোলনের অন্যতম এক সমন্বয়কারী শাহীন বলেন, এ আন্দোলন শুধু আমাদের জন্য না। এ আন্দোলন সমগ্র দেশের মানুষের জন্য। পুলিশ, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, রিকশাচালক সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি সরকার মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে বসার ব্যবস্থা করবেন।
প্রভাত/টুর