প্রভাত বিনোদন : প্রায় ২০ বছর ধরে চলা ‘দ্বন্দ্ব’র অবসান ঘটলো। অভিনেতা ইমরান হাশমি ও মল্লিকা শেরাওয়াত নিজেদের দূরত্ব ঘুচিয়ে কাছাকাছি এলেন। ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া অনুরাগ বসুর ইরোটিক থ্রিলার ‘মার্ডার’ ছবিতে জুটিবেঁধে যারা চমকে দিয়েছিলেন। সেই শুরু সেই শেষ। এরপর মুখ দেখাদেখি একেবারে বন্ধ। ২০২১ সালে মল্লিকা অবশ্য তাদের এই দ্বন্দ্ব বা লড়াইকে ‘শিশুসুলভ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এরপরও তাদের দুজনের এক হতে আরও তিন বছর লাগলো। সম্প্রতি তারা এক হলেন এবং নিজেদের মধ্যে চলা ২০ বছরের দূরত্ব প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন।
সম্প্রতি তাদের মিলন প্রসঙ্গে হাশমি বলেন, এটি (দুজনের সাক্ষাৎ) খুবই উষ্ণ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। আমি তাকে অনেক দিন পর দেখেছি। আমার মনে হয় মার্ডার মুক্তির পর তার সঙ্গে মাত্র কয়েকবার দেখা হয়েছে। এরপরই তো আসলে আমাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। আমাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। হাশমি অতীত হাতড়ে নিজেদের ভুল শুধরে বলেন, আমরা তখন তরুণ এবং মূর্খ ছিলাম। জীবনে এমন একটি পর্যায় আসে যখন আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এত সীমিত এবং খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, যা অনেক পরে টের পাওয়া যায়। তখন কিছু কথা মল্লিকা বলেছিল, কিছু আমি। সেগুলো আসলে খারাপ ছিল। আমি মনে করি, এটি এখন অতীত। আমরা এটিকে অনেক আগেই একপাশে ফেলে দিয়েছিলাম। প্রায় দুই দশক পর তাকে সামনাসামনি দেখে খুব ভালো লেগেছিল। তাই নয়, মল্লিকার সঙ্গে ফের কাজ করার আগ্রহের কথা জানালেন হাশমি।
এর আগে ২০২১ সালে হাশমির সঙ্গে বিবাদ সম্পর্কে দ্য লাভ লাফ লাইভ শোতে কথা বলেন মল্লিকা। মন্দিরা বেদীর শোতে মল্লিকা শেরাওয়াত উল্লেখ করেন যে অনেক সহ-অভিনেতার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে হাশমিকে টেনে আনেন। মল্লিকা বলেন, মার্ডার প্রচারের সময় ইমরান হাশমির সঙ্গে সবচেয়ে তিক্ত ঘটনা ঘটেছিল। আমাদের প্রচ- ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটি আমার কাছে খুব অপ্রত্যাশিত এবং শিশুসুলভ মনে হয়েছে। কিন্তু আমিও কম যাইনি। আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এটি সত্যিই দুঃখজনক, কারণ তিনি একজন দুর্দান্ত সহ-অভিনেতা ছিলেন। তিনি খুব বন্ধুত্বপূর্ণ এবং দানশীল মানুষ। সে একজন চমৎকার পুরুষ।”