শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Proval Logo

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট এখন ৩ ভাগে বিভক্ত 

প্রকাশিত - ০৮ জুলাই, ২০২৪   ০৮:৩৩ পিএম
webnews24
অনলাইন ডেস্ক

প্রভাত ডেস্ক: ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালির (আরএন) জয়যাত্রাকে আটকে দিয়েছে বামপন্থি জোট। ডানদের হতাশ করে রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে অধিকাংশ আসনে জয় পেয়েছে বাম জোট। তবে কট্টর ডানপন্থি সরকারকে ক্ষমতায় আসা থেকে ঠেকাতে পারলেও ফ্রান্স ঢুকে গেছে রাজনৈতিক গোলকধাঁধার মধ্যে। কেননা কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে দেশটির পার্লামেন্টে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্ট জয় পেয়েছে ১৮২ আসনে, আর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর মধ্যপন্থি এনসেম্বল জোট জয় পেয়েছে ১৬৮ আসনে। প্রথম দফার ভোটে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া কট্টর ডানপন্থি আরএন এবার নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। মেরিন লা পেনের নেতৃত্বাধীন দলটি দ্বিতীয় দফার ভোটে ১৪৩ আসনে জয় পেয়েছে। বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্টের প্রথম স্থান দখল করা ছিল অপ্রত্যাশিত। এ নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাখোঁও বড় ধাক্কা খেয়েছেন। ফ্রান্সের পার্লামেন্ট এখন বিভক্তি অনেক বড় হলো। এর ফলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিদেশেও ফ্রান্সের প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়বে। নির্বাচনের এ ফলাফলে পর পার্লামেন্ট তিনটি বড় গ্রুপে ভাগ হয়ে যাবে বাম, মধ্য ও কট্টর ডানপন্থি। এই তিন দলের একসঙ্গে কাজ করার ঐতিহ্য নেই।
নির্বাচনে প্রথম হওয়া নিউ পপুলার ফ্রন্টের এজেন্ডার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি ও খাদ্যের মতো নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানা, ন্যূনতম মাসিক মজুরি নিট ১,৭৩২ ডলারে উন্নীত করা, সরকারি খাতের কর্মীদের বেতন বাড়ানো ও ধনীদের ওপর সম্পদ কর বসানো। দলটি ফল পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বলেছে, তারা দেশ পরিচালনা করতে চায়। নির্বাচনে প্রথম হতে না পারলেও বর্ণবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষের জন্য কুখ্যাত কট্টর ডানপন্থি আরএনের উত্থান ও ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা দেখে অনেকেই আতঙ্কিত হয়েছেন। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে মোট আসনসংখ্যা ৫৭৭টি, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য জয় দরকার ২৮৯ আসনে। এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, বাম জোট ঐক্যবোধ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কি না। ক্রমবর্ধমান জীবন যাপনের ব্যয় ও সরকারি সেবার মান কমার পাশাপাশি অভিবাসন ও নিরাপত্তা সংকটের কারণে ভোটাররা এবার মাখোঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৮৯টি আসন। সেটি কেউ না পাওয়ায় বাম জোটকে সরকার গঠন করতে হলে অন্যদের সমর্থন নিতে হবে। ফলে দেশটিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনের সম্ভাবনাই এখন বেশি। এর আগে গত রোববার অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে সবচেয়ে বেশি ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কট্টর ডান আরএন। তবে আরএনের লা পেন বলেছেন, তার দলের জয় শুধু বিলম্বিত করা হয়েছে। আজকের এই ফলের মধ্যে তিনি আগামী দিনের বিজয়ের বীজ দেখতে পাচ্ছেন।
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে জয় পেয়েছিল কট্টর ডানপন্থিরা। তবে দ্বিতীয় দফার ভোটে বামপন্থি জোটের জয়ে কট্টর ডানপন্থি সরকারের ক্ষমতায় আসা বন্ধ হলেও, কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পার্লামেন্টে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। 
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালির (আরএন) জয়যাত্রাকে আটকে দিয়েছে বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট। ডানদের হতাশ করে রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে অধিকাংশ আসনে জয় পেয়েছে বাম জোট, জয় পেয়েছে ১৯৮ আসনে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর মধ্যপন্থি এনসেম্বল জোট জয় পেয়েছে ১৬৯ আসনে আর মেরিন লা পেনের নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থি আরএন মোট ১৪৩ আসনে জয় পেয়েছে। ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে জয় পেয়েছিল কট্টর ডানপন্থিরা। তবে দ্বিতীয় দফার ভোটে বামপন্থি জোটের জয়ে কট্টর ডানপন্থি সরকারের ক্ষমতায় আসা বন্ধ হলেও, কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় পার্লামেন্টে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যেখানে এক মাস আগেও নিউ পপুলার ফ্রন্টের (এনএফপি) কোনো অস্তিত্ব ছিল না, সে জোটটি এখন ফ্রান্সের নির্বাচনে সংসদে সর্বাধিক আসন জিতেছে এবং এখান থেকেই ফ্রান্স পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পেতে পারে।
১৯৩৬ সালে ক্ষমতা লাভ করা থেকে কট্টর ডানপন্থীদের আটকে দেয়া মূল পপুলার ফ্রন্টকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বামপন্থী জোট নিজেদের নাম দিয়েছিল নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি)। এ জোটটি বিভিন্ন দল নিয়ে গঠিত: কট্টর-বামপন্থী ফ্রান্স আনবোড পার্টি, মধ্যপন্থি সোশ্যালিস্ট পার্টি, গ্রিন ইকোলজিস্ট পার্টি, ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টি, মধ্য-বামপন্থি প্লেস পাবলিক এবং অন্যান্য ছোট দল। তবে দলগুলো প্রায়ই নিজেদের মাঝে দ্বিমত পোষণ করে।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনে খারাপ ফলের জেরে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আগাম নির্বাচনের ঘোষণাও দেয়ার পর জোটটি গঠন করা হয়। ফ্রান্সের সমাজতান্ত্রিক নেতা অলিভিয়ার ফাউর জোট গঠনের ব্যাপারে বলেছিলেন, 'ইউরোপীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ইমানুয়েল মাখোঁ এমন এক জুয়া খেললেন যখন ডানপন্থিরা সবচেয়ে শক্তিশালী। শুধু ঐক্যবদ্ধ বামই এটা আটকাতে পারবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর এনএফপি জোটের প্রতিটি দল আলাদাভাবে নির্বাচনী ফলাফল উদযাপন করেছে। জোট কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবে তা স্পষ্ট নয়। তবে জোটের নেতাদের মধ্যে সব থেকে এগিয়ে আছেন ফ্রান্স আনবোড পার্টির ৭২ বছর বয়সী নেতা জাঁ লিক মিলোশঁ। তার দল বামজোটের হয়ে সংসদে ৭৪ টি আসন জিতেছে। 
 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন