শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Proval Logo

শঙ্কা কাটেনি সতর্ক সরকার

প্রকাশিত - ২৭ জুলাই, ২০২৪   ০৯:২৮ পিএম
webnews24

প্রভাত রিপোর্ট : কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আবার মাঠে নেমে অরাজকতার চেষ্টা করা হলে আরো কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার। যদিও আন্দোলনে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। কেননা আন্দোলনকারীদের মূল দাবি কোটা সংস্কার সরকার মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করে গেজেট প্রকাশ করেছে। আদালতের দেয়া রায় মোতাবেক সরকার ছাত্রদের কোটার দাবি মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছে। বাকি দাবি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে। সরকারের আশ্বাসের পরও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখনও তাদের কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করেনি। বরং কতিপয় নেতা এখনও নিত্য নতুন দাবি তুলে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করছে। 
সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে এখনও দেশের বাইরে থেকে এই আন্দোলনকারীদের পরিচালনা করছে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠি। হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠানো হয়েছে দেশে। তবে সরকার রয়েছে সতর্কাবস্থায়। কারফিউ জারি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর অভিযানের কারনে নাশকতাকারীরা এখন আতœগোপনে চলে গেছে। সময় সুযোগ পেলেই তারা আবারও সহিংস কর্মকা- চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানা যায়। ফলে সরকার জানমাল রক্ষায় কোনো ছাড় দেবে না। নিরাপত্তার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কারফিউ প্রত্যাহার সম্ভাবনাও কম বলে জানা যায়। নাশকতাকারীদের ধরতে সারাদেশে অভিযান চলছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কারফিউ চলাকালীন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে চালাচ্ছে অভিযান। 
অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যখন কোনো এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য গিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলেন। ওই এলাকা থেকে কেউ যেন বের হয়ে যেতে না পারেন, এ জন্য সব পথে তারা অবস্থান নেন। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটিকেই মূলত তারা ‘ব্লক রেইড’ বলছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বলছে, আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় জড়ানো ব্যক্তিদেরকেই তারা গ্রেফতার করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতা-কর্মী। এর বাইরে থেকে আসাশিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে পুলিশ এবং র‌্যাবকে তথ্য দিয়ে নাশকতাকারীদের গ্রেফতারে সহায়তা করছে।
অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশি সহিংসতা হয়েছে এমন এলাকায় তারা জোরদার অভিযান চালাচ্ছেন। তা ছাড়া সহিংসতার মদদদাতা হিসেবে সন্দেহভাজন বিএনপি জামায়াতের নেতাদের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনাও পেয়েছেন তারা। এসব নেতাদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার আন্দোলন ১৪ জুলাই পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ছিল। আকস্মিক সহিংসতার ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০ জুলাই থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করে ২৭ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন