প্রভাত সংবাদদাতা, বগুড়া : বগুড়ায় কয়েক দিন ধরে লোডশেডিং বেড়েছে। হঠাৎ করে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে লাখো মানুষ। দিনে–রাতে সমানতালে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তির পাশাপাশি শিল্পকারখানায় উৎপাদন চরম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের কষ্ট বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অন্তত ৩০ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ হঠাৎ করে কমিয়ে দেয়া হয়। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর হঠাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এতে উত্তরাঞ্চলজুড়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই (নেসকো) ও বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ ঘাটতির কারণে চাহিদার তুলনায় প্রতিদিন গড়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। উল্টো গরমের কারণে বিদ্যুতের বর্তমানে চাহিদা বেড়েছে। এতে শহর ও গ্রামে লোডশেডিং বেড়েছে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই (নেসকো) পিএলসি বগুড়া আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গ্রাহকসেবার সুবিধার্থে বগুড়া শহরকে বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ১, ২, ৩ ও ৪ অঞ্চলে ভাগ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সংস্থাটি। শহর ছাড়াও দুপচাঁচিয়া, শেরপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে নেসকো। এই চার অঞ্চলে গড়ে মোট বিদ্যুতের চাহিদা ১০০ থেকে ১০৫ মেগাওয়াট। বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ মিলছে ৭০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত। চাহিদার তুলনায় গড়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সরবরাহ ঘাটতির কারণে প্রতিদিন গড়ে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে।