বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

জিহাদকে জাতীয় বীর ঘোষনার দাবী

প্রকাশিত - ২১ আগস্ট, ২০২৪   ০৬:৪৫ পিএম
webnews24

প্রভাত সংবাদদাতা,দশমিনা : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের কোটা বিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জিহাদ হোসেনকে (২৫) তার পরিবার জাতীয় বীর হিসাবে মর্যাদা দিয়ে ঘোষনা করার দাবী জানিয়েছে। একই সাথে জিহাদের মৃত্যুর জন্য দায়ীদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেন তার পরিবার। জিহাদ উপজেলা সদরের মোল্লাপট্টি এলাকার নুরুল আমিন মোল্লা (৫৭) ও শাহিনুর বেগম (৫২) দম্পতির ছেলে। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। ঢাকার যাত্রাবাড়ির কোনাপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে সরকারি কবি নজরুল কলেজে ইতিহাস বিভাগে মার্স্টাসে অধ্যয়নরত ছিলেন।
জিহাদের মা শাহিনুর বেগম তার আদরের ছোট ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায়। প্রিয় সন্তানের ছবি বুকে জড়িয়ে অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে চিৎকার করছে। জিহাদকে হারিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তার বাবা নুরুল আমিন মোল্লা। শোকে বাকরুদ্ধ বড় ভাই জিন্নাত হোসেন (২৯) এবং দুই বোন জান্নাতুল (৩৪) ও জয়নব (৩০)। তাঁকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল পরিবারের সকলের। তাঁর এমন অকাল মৃত্যুতে পরিবারটির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। শোকের ছায়া স্বজন ও প্রতিবেশীদের চোখে মুখে। কোটা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় দনিয়া কলেজ ও কাজলা ফুটওভার ব্রীজের মাঝামাঝি রাস্তায় জিহাদ বুকের ডান পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় সহপাঠী ও বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সালমান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ভর্তির  কিছুক্ষণ পর বিকেল পৌণে ৫টার দিকে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
কান্না জড়িত কন্ঠে জিহাদের বাবা নুরুল আমিন মোল্লা বলেন, আমার ছেলে জিহাদ মেধাবী ছাত্র ছিল। কেমনে কি হয়ে গেলো জানি না। মা শাহিনুর বেগম বলেন, আমার মতো আর কোনো মায়ের বুক যেনো এভাবে খালি না হয়। দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের তথা দেশবাসীর অধিকার আদায় করতে গিয়ে আমার ছেলে জীবন উৎসর্গ করেছে। যুগ যুগ ধরে আগামী প্রজন্ম যেনো আমার ছেলের এই অবদান মনে রাখে এবং তাকে যেন সরকার বীর হিসাবে ঘোষনা করেন। 
 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন