সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

বন্যায় চৌদ্দগ্রামে ৮২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

প্রকাশিত - ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪   ০৮:২২ পিএম
webnews24

প্রভাত সংবাদদাতা, কুমিল্লা : ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় দেখা দেয়। এতে উপজেলায় স্কুল, মাদরাসা ও কলেজসহ ২৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যায়। ফলে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিলেও জলাবদ্ধতার কারণে এখনো ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ। উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বিদ্যালয়ের ভবনের মেঝেতে, মাঠে ও রাস্তায় পানি থাকার কারণে এখনো ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৫টি মাদরাসার পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকি বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান শুরু হলেও চতুর্দিকে পানি থাকার কারণে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম।  গত ১৮ আগস্ট থেকে বন্যায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ১৭০টি প্রাথমিক, ৫৪টি মাধ্যমিক, ৪৮টি মাদরাসা, একটি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সরকারি-বেসরকারি ১১টি কলেজসহ মোট ২৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবনগুলোতে আশ্রয় নেয় মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলকরা ইউনিয়ন বাকগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এখনো পানিতে তলিয়ে। এছাড়া অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ ও যাতায়াতের সড়কে পানি থাকায় ওইসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও চারপাশে পানির থৈ থৈ অবস্থায় থাকায় অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ। এছাড়া কিছু এলাকায় বাড়ির উঠানে এবং সড়কে পানি থাকায় অনেক শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে আসতে পারছে না। ফলে পাঠদান শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
আব্দুর রশিদ নামে এক অভিভাবক বলেন, চারদিকে এখনো যে পরিমাণ পানি, সে কারণে আমার ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। পুরোপুরি পানি কমলে সে স্কুলে যাবে। ফারুক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বন্যার পানি ঘরে প্রবেশ করে বই-খাতাসহ সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কি নিয়ে স্কুলে যাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাকিনা বেগম বলেন, উপজেলার ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭০টিতে পানি উঠেছে। এখনো ৭০টি বিদ্যালয়ের ভবনের মেঝেতে, মাঠে ও রাস্তায় পানি রয়েছে। যার কারণে ওই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া ৬৭ বিদ্যালয়ের বেঞ্চ, টয়লেট ও ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পানি নেমে গেছে ওইসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে তবে চতুর্দিকে পানি থাকায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মীর হোসেন বলেন, পানি থাকার কারণে উপজেলার ৭টি স্কুল ও ৫টি মাদরাসায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকিগুলোতে যথারীতি পাঠদান চলমান।
 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন