রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১
Proval Logo

চট্টগ্রাম বন্ধ সিএনজিচালিত  অটোরিকশা : দুর্ভোগে যাত্রী

প্রকাশিত - ২১ আগস্ট, ২০২৪   ০৬:৪৮ পিএম
webnews24

প্রভাত সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম : অফিস শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে ঘর থেকে বেরিয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ ফারহান। চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানহাট এলাকায় একটি ইলেকট্রনিকসামগ্রী বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক তিনি। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। মাহাম্মদ ফারহান বলেন, ‘দেড় ঘণ্টা আগে বের হয়েও গাড়ি পাচ্ছি না। বৃষ্টির কারণে গণপরিবহনে চাপ বেশি। এদিকে তিন দিন ধরে সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নেই। খবরে শুনলাম, মালিকেরা ধর্মঘট ডেকেছেন। এতে অনেক অফিসগামী যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন। চট্টগ্রাম নগরে আজ তৃতীয় দিনের মতো সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ। এর ফলে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ যাত্রীরা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা না থাকায় এবং ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় অনেকে রিকশাও পাওয়া যাচ্ছে না সময়মতো। দূরের গন্তব্যে রিকাশায় যেতে যেমন সময় বেশি লেগেছে, তেমনি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ।
গত সোমবার নিজেদের ১০ দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও শ্রমিকেরা। এদিন নগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রাখেন তাঁরা। কয়েকটি স্থানে ব্যক্তিগত সিএনজি চলাচলেও বাধা দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। এদিনের ঘটনায় সিএনজি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার ও গতকাল সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় মালিক সমিতি। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে সাত দফা দাবি জানিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নগর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ ঘোষণা করে চট্টগ্রাম মহানগরী অটোরিকশা (সিএনজি) মালিক সমিতি সমন্বয় পরিষদ। ৩টি আলাদা সমিতির অধীনে নগর এলাকায় প্রায় ১৩ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে বলে জানা গেছে। 
চালক ও শ্রমিকদের দাবিগুলোর অন্যতম ব্যাটারিচালিত রিকশা, লাইসেন্স, ডকুমেন্ট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো বন্ধ করা। বিনা অপরাধে চালককে মামলা দেয়া এবং চালককে নির্যাতন বন্ধ করা; সহজ শর্তে চালকদের লাইসেন্স প্রদান; অটোরিকশা ও টেম্পোর সর্বোচ্চ দৈনিক ভাড়া ও মামলার খরচ কমানো।
পাহাড়তলী সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. এরফান চৌধুরী বলেন, আমরা মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইলেও তারা রাজি হচ্ছে না। আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। 
মালিক সমিতির সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সোমবার ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা, নগরে গ্রাম সিএনজি (মফস্সলে চলচল করা সিএনজি) ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা, রাইড শেয়ারিংয়ের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম নির্ধারণ, মালিকদের দৈনিক জমা বর্তমান বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গেজেট প্রকাশ করা ও গাড়ির মামলার জরিমানা সহনীয় করা।
চট্টগ্রাম মহানগরী অটোরিকশা (সিএনজি) মালিক সমিতি সমন্বয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক হায়দার আজম চৌধুরী বলেন, মানববন্ধনের নামে কিছু বহিরাগত চালকদের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছেন। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নগর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ রাখা হয়েছে।
 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন
বাগেরহাটে বেশিরভাগ ডিলার আত্মগোপনে :