সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার লড়াই

প্রকাশিত - ২৬ জুন, ২০২৪   ০৭:৩৭ পিএম
webnews24

প্রভাত রিপোর্ট : ২০ দলের লড়াই এখন ৪ দলে নেমে এসেছে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ও রাতে মাঠে নামছে শিরোপা প্রত্যাশী দলগুলো। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকা চার দল হলো ভারত, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। সেমিফাইনালের লাইনআপ অনুযায়ী, এই চার দলের মধ্যে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই দল, ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ৬.৩০ মিনিটে। 

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গায়ানাতে ভারতের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮.৩০ মিনিটে। সেমিফাইনালে চার দলের মধ্যে ফেভারিট হিসেবে ধরা হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যদিও বৈশ্বিক আসরে তাদের সীমানাও শেষ চারের লড়াই পর্যন্ত। সুপার এইটে কোনো ম্যাচ হারেনি প্রোটিয়ারা। গ্রুপ-২ এর শীর্ষ থেকে সুপার এইট পর্ব শেষ করা দলটি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমিতে চমক দেখানো আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়ে।

টুর্নামেন্টে তারা সিজেদের অপরাজিত যাত্রা বজায় রাখতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। এদিকে আসরে দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে আরেক ফেভারিট ভারত। গায়ানায় অপরাজেয় রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের লড়াই হবে। কেননা দুই দলই আছে ফর্মের চূড়ায়। তাই এই ম্যাচে কোন দলকেই ফেবারিট ভাবার সুযোগ নেই। নিজেদের সেরা দিনে তারা যে কেউ যে কোন দলকে হারিয়ে দিতে পারে। এদিকে ইতিহাস গড়তে মাঠে নামছে আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট বিশ্বে একটা কথা প্রচলিত আছে, দক্ষিণ আফ্রিকার দৌড় সেমিফাইনাল পর্যন্ত। প্রতিটা বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ফেবারিট হিসেবেই নামে প্রোটিয়ারা। দাপুটে পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালে উঠার পরই যেন কী হয় তাদের। যে কারণে প্রোটিয়াদের গায়ে ‘চোকার্স’ শব্দটি স্থায়ীভাবে লেপ্টে গেছে অনেক আগেই।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে সাতবার শেষ চারে খেললেও ফাইনালের মঞ্চে নামার সুযোগ হয়নি তাদের। ফাইনালে খেলতে না পারার বন্ধ্যাত্ব এবার ঘুচাতে মরিয়া অষ্টমবারের মত আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিতে উঠা দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে, নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের সেমিফাইনালে খেলবে আফগানরা। ফাইনালে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না তারা। টানা ৭ জয়ের মধ্যে ৬টিতে ঘাম ঝরিয়ে ও ভাগ্যের জোরে জিততে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কিন্তু সেমিফাইনালের মঞ্চে শ্বাসরুদ্ধকর জয় চান না প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। দাপুটে জয়ে প্রথমবারের মত ফাইনালে নাম লেখানোর স্বপ্ন মার্করামের, ‘সেমিফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ তৃপ্তি লাগছে। সেমিতে দাপটের সাথে জিততে চাই। আগের সাত ম্যাচে অনেক ভুল করেছি আমরা। আশা করি, সেমিতে পুরনো ভুলগুলো হবে না’। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেকে বিদায় নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও কি ‘চোকার্স’ শব্দকে নিজেদের সাথে আরও জোরালো করবে প্রোটিয়ারা?

এদিকে গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে আফগানিস্তান। প্রথম তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ড, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করে তারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে যায় আফগানরা। গ্রুপ রানার্সআপ সুপার এইটে উঠে আরও বড় চমক দেখায় আফগানিস্তান। ভারতের কাছে হারলেও, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয় রশিদ-নবিরা। সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মত সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল স্বপ্নের মত লাগছে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের, ‘বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে খেলা, দল হিসেবে এটি আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। আমরা যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছি, নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পর বিশ্বাসটা চলে আসে। এটি অবিশ্বাস্য। অনুভূতি বোঝানোর মতো ভাষা নেই আমার। এত বড় অর্জনে দেশের সবাই নিশ্চিতভাবেই আমাদের নিয়ে অনেক খুশি।’ এবার সেমিফাইনালেও চমক দেখিয়ে বাজিমাত করতে চায় আফগানিস্তান।

এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে দু’বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-আফগানিস্তান। দু’বারই বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা হওয়া ম্যাচে জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। ২০১০ সালে ৫৯ রানে এবং ২০১৬ সালে ৩৭ রানে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।  হাইভোল্টেজ সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে অন ফিল্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকবেন রিচার্ড ইলিংওর্থ ও নিতিন মেনন। আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচে ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন। এছাড়া রিচার্ড কেটেলবোরো তৃতীয় আম্পায়ার ও আহসান রাজা চতুর্থ চতুর্থ আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকবেন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত ও ইংল্যান্ড ম্যাচে ম্যাচ রেফারি জেফরি ক্রো। এছাড়া ক্রিস গ্যাফানি ও রড টাকার অন ফিল্ড আম্পায়ার, জোয়েল উইলসন তৃতীয় আম্পায়ার ও পল রাইফেল চতুর্থ আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকবেন। ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে কারা থাকবেন তা এখনও প্রকাশ করেনি আইসিসি।
প্রভাত/আসো

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন