প্রভাত রিপোর্ট : ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরে রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর আমরা রপ্তানি নীতি করে থাকি। আগের রপ্তানি নীতি গতকাল শেষ হয়ে গেছে। আজ নতুন অর্থবছর শুরু। আজ নতুন রপ্তানি নীতি উপস্থাপন করা হয়েছিল। ছোটখাটো কিছু অবজারভেশনসহ এটি অনুমোদন লাভ করেছে। আগের নীতির ধারাবাহিকতায় নতুন নীতিতে কিছু বিশেষ বিষয় যোগ করা হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর আমরা বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা হারাবো আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানি যাতে প্রতিযোগিতামূলক থাকে, রপ্তানিকারকরা যাতে উৎসাহিত বোধ করে, সেদিকে নজর দিয়েই নতুন নীতি তৈরি করা হয়েছে।
গত বছর ৮০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, এ অর্থবছরটা এখনও হিসাব করা হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, আগের অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এ পর্যন্ত ৬৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে। এবার তারা আশা করছেন ৭০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ২০২৭ সালে যে অর্থবছর শেষ হবে সেটার পর ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা করে এ নীতিমালাটি করা হয়েছে।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস রপ্তানির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা এতকাল সফটওয়্যার রপ্তানিতে জোর দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা শুধু সফটওয়্যার না, আমাদের যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সেটি রপ্তানিতেও যেন আমরা বেশি উৎসাহ প্রদান করি। সেখানে যাতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের এখান থেকে শাকসবজি, ফল আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য উপযুক্ত করে তৈরি করে সেটি রপ্তানি করার ক্ষেত্রে যাতে আমরা সহায়তা করি, সেই নির্দেশনা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও নির্দেশনা দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোয়ালিটি মেইনটেইন করার ক্ষেত্রে যেন খুব কঠোরভাবে নজরদারি করা হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনো দেশের আমদানি বা রপ্তানিকারকের সঙ্গে যদি আমাদের কারো ডিসপিউট হয়, সেক্ষেত্রে যাতে বড় ধরনের ঝামেলা না হয়, সেজন্য আমরাই যাতে একটা ডিসপিউট রেজুলেশনে মেকানিজম তৈরি করি, সেটার একটা ব্যবস্থা সন্নিবেশিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এখানে আরও কয়েকটি জিনিস ঢুকানো হয়েছে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা বা নারীর রপ্তানিকারক যদি হয় তাকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য নীতিগত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শর্তসাপেক্ষে সীমিত রপ্তানির পণ্য তালিকায় আগের নামটা ছিল, এখন এইচএস কোডসহ বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালকে প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্প বর্ষ ঘোষণা করেছেন। সেটা যাতে বিশেষ যতœ পায় সে বিষয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।