শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১
Proval Logo

মিনিকেট, আশালতা, কাজললতা নিষিদ্ধ

প্রকাশিত - ০৭ জুলাই, ২০২৪   ০৯:৫৩ পিএম
webnews24
অনলাইন ডেস্ক

প্রভাত রিপোর্ট  : বিআর-২৮ চাল থেকে মিনিকেট ও বিভিন্ন আকর্ষণীয় নামের চিকন চাল বানিয়ে বিভিন্ন নামে বাজারে বিক্রি করে ভোক্তাদের প্রতারিত করে আসছেন মিলার আড়তদার, ব্যবসায়ীরা। অসাধু প্রক্রিয়ায় তারা শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য করে আসছে। এদের এই কার্যক্রম দমকে সরকার বরাবার নির্বিকার ছিল। এবারই প্রথম এর প্রতিকারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিআর-২৮ ধান হতে মিলিং এরপর যে চাল আসে তা বিআর-২৮ চালই আসে এবং এই চাল বিআর-২৮ নামেই বাজারজাত করা, বিপণন করার কথা। কিন্তু তা না করে মিনিকেট, আশঙ্কা, কাজললতা, রাঁধুনী বা এইরূপ আরো নামে নামকরণ করে বাজারে ছাড়া হয়। বিআর-২৮ মেশিনে চিকন করে আকর্ষণীয় নামে সবচেয়ে উন্নত জাতের চাল বলে প্রচার করে উচ্চ দামে বিক্রি করা হয়। বিআর-২৮ চালের চেয়ে কেজিতে ২০-২৫ টাকা অধিক দাম রাখা হয়। সরকার তা নিষিদ্ধ ও আইনত্ব দ-নীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। এ জন্য ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জেল ও উভয় দ- প্রদান করা যাবে।
জানা যায়, চালসহ কোন খাদ্যদ্রব্যের বিদ্যমান কোন স্বাভাবিক উপাদানের বর্ণ, গন্ধ, আকার-আকৃতি, গঠন প্রকৃতি পরিবর্তন করা দ-নীয় অপরাধ হবে। বছরের পর বছর প্রতিকারহীনভাবে তা চলে আসছে। ভোক্তা সাধারণকে প্রবন্ধিত, প্রতারিত করে মিলার, ব্যবসায়ীরা এই অবৈধ, অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। চাল ও অন্য যেকোন খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রাকৃতিক বা মান সৃষ্টি কোন উপাদান মিশ্রণ করে বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন কেমিক্যাল, কৃত্রিম রঙ মিশিয়ে এর আকৃতি, গঠনে পরিবর্তন আনা হয়। অসৎ প্রক্রিয়া ভোক্তা সাধারণকে অনায়াসে ঠকানো হয়। চালের সাথে পাথর, বালিও মিলিয়ে ওজন বাড়ানো হয়। এসব অপরাদের জন্য ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক জরিমানাও সশ্রম কারাদ- বা উত্তরাধিক দ- দেয়া বিধান করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত ক্ষেত্রসমূহে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির পাশাপাশি চাল ও অন্য খাদ্যদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করবেন এবং নিলামে বিক্রি করতে পারবেন। নিলাম কার্যক্রমে জন্য মহানগরও জেলা পর্যায়ের কমিটি করা হবে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রয়োগ করলে অসাধু কার্যক্রমের অবসান ঘটবে। কিন্তু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তা করবেন কি না সংশয় রয়েছে। এতে করে তাদের অবৈধ আয়ের রেটই কেবল বাড়বে। কিন্তু কিছু তৎপরতা প্রথম দিকে হয়ত পরিচলিত হবে। কিন্তু তা-ও হবে নিতান্ত লোক দেখানো।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন