শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১
Proval Logo

বৃত্ত ভাঙার চ্যালেঞ্জ ইংল্যান্ডের

প্রকাশিত - ১৪ জুলাই, ২০২৪   ১২:৫৭ এএম
webnews24

প্রভাত ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মঞ্চে একবারই শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ের বয়স হয়ে গেছে ৫৮ বছর! এরপর টুর্নামেন্ট আসে-যায়; কিন্তু ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারে না ইংলিশরা। বিশ্বকাপ কিংবা ইউরো; সেমিফাইনাল-ফাইনালে গিয়ে পা ফসকেছে তাদের। যা সমর্থকদের কাছে হয়ে গেছে পরিচিত দৃশ্য।

এবারের ইউরোতেও শুরুর নৈপুণ্য প্রত্যাশা ছুঁতে না পারলেও গ্যারেথ সাউথগেটের দল নিজেদের প্রমাণ করেই এসেছে শিরোপার মঞ্চে। দারুণ ছন্দে থাকা স্পেনকে টেক্কা দিয়ে হ্যারি কেইন-জুড বেলিংহামদের এবার তাই বৃত্ত ভাঙার চ্যালেঞ্জ।

সাউথগেটের অধীনে ইংল্যান্ড ২০১৮ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের পর কাতার বিশ্বকাপে খেলেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। আর ইউরোতে খেলছে টানা দ্বিতীয় ফাইনালে।

এমন ধারাবাহিকতা রাতারাতি পায়নি তারা। জাতীয় দলের ভবিষ্যতের ভাবনা থেকেই ক্লাব ফুটবলে মনোযোগ দেয় দেশটির ফুটবল কর্তারা। তাঁরা বুঝে গিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য পেতে হলে কাজ করতে হবে যুব ফুটবলে। বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচদের তাই দেখা গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।

শীর্ষ ক্লাবগুলোতে থাকা তরুণরা শাণিত হয়েছেন পেপ গার্দিওলা, ইয়ুর্গেন ক্লপ, কার্লো আনচেলোত্তি, হোসে মোরিনহোদের অধীনে। এসব তরুণ খুব অল্প বয়সেই ঢুকে পড়েন প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে। এমন দক্ষ কোচদের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছে বলেই ফিল ফোডেন, কোল পালমার, মার্ক গুয়েহি, কোবি মাইনোরা আরো পরিণত হয়েছে দাবি করেছেন সাউথগেট।

যদিও জার্মানিতে এবার ইংলিশদের নৈপুণ্য সমর্থকদের মন ভরাতে পারছিল না। সাউথগেটের কৌশল নিয়েও কাটাছেঁড়া করেছে খোদ ইংলিশ গণমাধ্যমগুলোই।

তবে ইংল্যান্ডের এই দল সমালোচনায় কান পাতেনি। বরং প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে বারবার। কখনো বেলিংহাম, কখনো কেইন-সাকা কিংবা ওলি ওয়াটকিন্স; যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠেছেন তাঁরা। তাতে সাউথগেটও ঘোষণা দিয়েছেন, এটা নতুন ইংল্যান্ড, যারা লড়াই করতে জানে।
প্রভাত/এআর

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন