সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১
Proval Logo

ট্রাম্পের উপর গুলি ‘সত্যি দুঃখজনক’: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত - ১৪ জুলাই, ২০২৪   ০৭:৪০ পিএম
webnews24

প্রভাত রিপোর্ট :নির্বাচনি জনসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীন সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে রোববার বিকালে গণভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি একজন প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট, তার উপর এ ধরনের হামলা করা, আমরা এটার নিন্দা জানাই অবশ্যই।”

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনি প্রচারের সময় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, নির্বাচনি প্রচারের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তার ডান কান চিরে যায় এবং তিনি মঞ্চে বসে পড়েন।

ওই মুহূর্তের ভিডিওতে দেখা যায়, গুলির শব্দে নিরাপত্তারক্ষীরা চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর ট্রাম্পযখন আবার উঠে দাঁড়ান, তার কান থেকে গালের পাশ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

আহত অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়তে দেখা যায়। এসময় তিনিবলছিলেন,“ফাইট! ফাইট! ফাইট!”

হামলাকারীর গুলিতে সমাবেশে আসা এক রিপাবলিকান সমর্থকের প্রাণ গেছে, গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুজন। পরে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার গুলিতে ওই পুরুষ আততায়ী নিহত হয়েছে বলে সিক্রেট সার্ভিসের একবিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এফবিআই জানিয়েছে, ট্রাম্পের দিকে গুলিবর্ষণকারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস ও তার বয়স ২০ বছর। ক্রুকস ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটার।

ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে গুলির ঘটনায় আপাতদৃষ্টিতে নিরাপত্তার গাফিলতিই বড় কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের দিকে আঙুল তুলছেন অনেকে, প্রশ্ন উঠছে তাদের দায়িত্ব নিয়েও।

যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ঘটনায় প্রশ্ন ওঠার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমেরিকা তাদের গণতন্ত্র নিয়ে অনেক গর্ববোধ করে, অথচ সেখানে দেখা যাচ্ছে… আমরাতো গুলি-বোমা খেয়ে অভ্যস্ত, অনবরত খাচ্ছি- সেখানে একজন অপনেন্টকে এভাবে গুলি করা, তাও আবার সে সাবেক প্রেসিডেন্ট, সে খুব অল্পের জন্য বেঁচে গেছে কিন্তু, তার একেবারে কানের উপর দিয়ে চলে গেছে, যদি একটু এদিকওদিক হত, সে আর বাঁচত না।

“এটা আমেরিকার মত জায়গায় হয় কীভাবে? আমেরিকার মতো সভ্য দেশে, যারা গণতন্ত্রের এত বড় প্রবক্তা, সে দেশে এই ঘটনা ঘটবে কেন? সেটাওতো আমাদের একজন প্রশ্ন।”

বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনায় পরস্পরকে দোষারোপ করার সংস্কৃতি থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে তেমনটা না ঘটার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “ওরা সরকারকে দায়ী করেনি আর প্রেসিডেন্ট বাইডেনও এটাকে নিন্দা করছে যে, এটা গ্রহণযোগ্য না- কাজে এই এটুক সভ্যতা তার আছে।

“মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের দেশে যে দোষারোপ করার চেষ্টা, তাদের এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। তবে এই ঘটনাটা সত্যি খুব দুঃখজনক। একমাত্র প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট, তাকে এভাবে হামলা করা বা ইয়ে করা, তারা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।”

প্রভাত/টুর

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন
সংবাদ সম্মেলনে অসত্য তথ্য পরিবেশনের তীব্র প্রতিবাদ
সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা