ওটস নির্ভয়ে কাঁচা খেতে পারেন, এতে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হয় না। কাঁচা ওটসে থাকা বিটা গ্লুকান নামক দ্রবণীয় ফাইবার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, রোজ ৩ গ্রাম বিটা গ্লুকান খেলে কোলেস্টেরল কমতে পারে ৫-১০ শতাংশ।
কাঁচা ওটস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। তবে কাঁচা ওটসে ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকে। এই অ্যাসিড শরীরে বিভিন্ন রকম খনিজ শোষণে বাধা দেয়। তবে ওটস রান্না না করে, সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ওটসের মধ্যে থাকা স্টার্চ জাতীয় পদার্থ ভেঙে যায় এবং প্রাকৃতিক ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। ফলে শরীরে ওটসের পুষ্টিগুণ বেশি পরিমাণে শোষিত হয়। রান্না করা ওটসের তুলনায় পানিতে ভিজিয়ে রেখে ওটস খেলে তা হজম করতে বেশি সুবিধা হয়।
রান্না করা খাবারের পরিবর্তে ঠান্ডা স্টার্চযুক্ত খাবারে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ বেশি পরিমাণে থাকে। রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ হলো একটি প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট, যা হজমশক্তি উন্নত করে ও ওজন কমায়। ওট্স ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমে।