• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মোরেলগঞ্জে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা অনুমোদন সভা অনুষ্ঠিত রিকশা চালিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জার্মান রাষ্ট্রদূতের বেশিরভাগ জমি এখনও টেকসই চাষের বাইরে : বিবিএস নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল অপরাধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসার রেকর্ড ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যায় যেতে হবে না: এনবিআর চেয়ারম্যানের আটক হওয়া বাংলাদেশিরা আইএসের সঙ্গে যুক্ত: মালয়েশীয় পুলিশ মহাপরিদর্শক ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনোই বন্ধ হবে না : ইরাভানি নাজিরপুর উপজেলা যুবদলের আনন্দ মিছিল ও র‍্যালি

কিউইদের স্বপ্ন ভেঙে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা ভারতের

প্রভাত রিপোর্ট / ৬২ বার
আপডেট : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

আরও একবার বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হলো নিউজিল্যান্ডের। কিউইরা লড়াই করলো দুর্দান্ত। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারলো না। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।

দুবাইয়ে রোমাঞ্চকর ফাইনালে এক ওভার হাতে রেখে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। এর আগে ২০১৩ সালে এককভাবে এবং ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল ভারত।
ফাইনালে ভারতের সামনে লক্ষ্য খুব বড় ছিল না, ২৫২ রানের। রোহিত শর্মার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেই লক্ষ্যে উড়ন্ত সূচনা করে ভারত। ৪১ বলেই ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন ভারতীয় অধিনায়ক।

গিল অবশ্য এভাবে মেরে খেলতে পারেননি। তবে রোহিতকে সঙ্গ দেওয়ার কাজটি ঠিকঠাক করেছেন। ৫০ বলে ৩১ করে গিল স্যান্টনারের বলে গ্লেন ফিলিপসের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন। ততক্ষণে উদ্বোধনী জুটিতে উঠে ১০৫ রান।
এরপর কোহলিকে (১) এলবিডব্লিউ করেন ব্রেসওয়েল। ১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় ভারত। রোহিত চাপ কমাতে ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাচিন রবীন্দ্রর বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। ৮৩ বলে ৭ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি করেন ৭৬।

১৭ রানের মধ্যে ভারতের ৩টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে নিউজিল্যান্ড। তবে চতুর্থ উইকেটে শ্রেয়াস আইয়ার আর অক্ষর প্যাটেল দেখেশুনে দলকে অনেকটা এগিয়ে দেন। তাদের ৭৫ বলে ৬১ রানের জুটিটি ভাঙে রাচিনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে।

স্যান্টনারের বলে ফাইন লেগে লো এক ক্যাচ নেন রাচিন। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে ফেরেন আইয়ার (৪৮)। ৪০ বলে ২৯ রানের ধীর ইনিংস খেলে আউট হন অক্ষর প্যাটেল।
এরপর ছোট কিন্তু কার্যকর এক ইনিংস খেলে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া। ১৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৮ রান করে হার্দিক যখন জেমিসনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন, ভারতের তখন দরকার মাত্র ১১ রান।

বাকি পথটুকু সহজেই পাড়ি দিয়েছেন লোকেশ রাহুল আর রবীন্দ্র জাদেজা। রাহুল ৩৪ আর জাদেজা ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন জাদেজা।

এর আগে দুবাইয়ে টস জিতে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ছিল উজ্জ্বল। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও রাবিন রাবিন্দ্রা।
২৩ বলে ১৫ রান করে ইয়াং ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হলে এরপর ৬ রানের ব্যবধানে দুই ব্যাটিং স্তম্ভ রাবিন্দ্রা ও কেন উইলিয়ামসনও সাজঘরে ফেরত যান। ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড।

রাচিনের উড়ন্ত সূচনা থামে ২৯ বলে ৩৭ রানে। উইলিয়ামসন করতে পারেন মাত্র ১৪ বলে ১১ রান। দুজনই হন চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদবের শিকার।

এরপর চতুর্থ উইকেটে ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেন টম লাথাম ও ড্যারিল মিচেল। দেখেশুনে তাদের ধীরগতির ৬৬ বলে ৩৩ রানের জুটি ভাঙে লাথাম আউট হলে। ৩০ বলে ১৪ রান করে স্পিনার রবীন্দ্রা জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হন লাথাম।
পঞ্চম উইকেটে গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি করেন মিচেল। ফিলিপসকে (৫২ বলে ৩৪) আউট করে এ জুটি ভাঙেন বরুণ। ষষ্ঠ উইকেটে মাইকেল ব্রাসওয়েলকে নিয়ে ৪৬ রানের আরও একটি জুটি করেন মিচেল। এরপর থেমে যায় মিচেলের লড়াকু ১০১ বলে ৬৩ রানের ইনিংসটিও। মোহাম্মদ শামির বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ হন মিচেল।

শেষ দিকে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে কিছু রান জমা হয় ব্রাসওয়েলের হার না মানা ফিফটিতে। ৩ চার ২ ছক্কায় ৪০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কুলদীপ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী। একটি করে উইকেট পান রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামি।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও