প্রভাত স্পোর্টস: ৭ ম্যাচ খেলতে নিউজিল্যান্ডে উড়াল দিয়েছিল পাকিস্তান। শুরু থেকে শেষ পুরোটাই মোড়া ব্যর্থতার চাদরে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ৪-১ ব্যবধানে আর ওয়ানডে সিরিজে হতে হয়েছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ। এমন এক সিরিজের পর পাকিস্তানের অলরাউন্ডার খুশদিল শাহ মেজাজ হারিয়ে জন্ম দিয়েছেন আলোচিত এক কাণ্ডের। ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচ শেষে সমর্থকদের কথায় এতটাই চটে গিয়েছিলেন তিনি, পরে রেগেমেগে দর্শকদেরই পেটাতে গিয়েছিলেন তিনি। একেবারে বাউন্ডারি সীমানা পেরিয়ে দর্শকদের আলাদা নিরাপত্তা বেষ্টনী পর্যন্ত চলে যান খুশদিল। যদিও উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষী আর সতীর্থরা আটকান তাকে।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৪৩ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয় হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। পুরস্কার বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা সেরে তখন পুরো পাকিস্তান দল ফিরছে ড্রেসিংরুমের দিকে। সেসময়েই নাকি মাঠে উপস্থিত কিছু দর্শক পাকিস্তানের সব খেলোয়াড়কে উদ্দেশ্য করে তীর্যক মন্তব্য ছুঁড়ে দেন। তখনই মূলত মেজাজ হারিয়ে তেড়ে যান খুশদিল।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও জানিয়েছে এমন তথ্যই। সঙ্গে উল্লেখ করেছে দুজন আফগান নাগরিকের পাকিস্তান নিয়ে বিদ্বেষমূলক কথার প্রেক্ষিতেই তেড়ে গিয়েছিলেন খুশদিল শাহ। পিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান যখন চরমে, ক্রিকেটার খুশদিল শাহ এগিয়ে এসে দর্শকদের এমন কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। আফগান দর্শকরা পশতু ভাষা আরও কিছু আপত্তিজনক কথায় পরিস্থিতি জটিল করে তোলে।’
এই ঘটনায় আইসিসি বা পিসিবির পক্ষ থেকে খুশদিল শাহ’র বিপক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানা যায়নি। যদিও একই বিবৃতিতে বলের আঘাতে হাসপাতালে যাওয়া ব্যাটার ইমাম-উল-হকের স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থার কথা জানায় পিসিবি। বলা হয়, হাসপাতালে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ইমামের ছোট একটি কনকাশন ধরা পড়েছে। যদিও তাকে দলের বাকিদের সঙ্গে দেশে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছে।