• সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্থানীয় সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : পরিবেশ উপদেষ্টা আমাদের অর্জিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফ্যাসিবাদের থাবায় যেন নষ্ট না হয় : রিজভী আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সুদূর অতীত থেকে গড়ে ওঠা এক শক্ত ভিত্তি: তারেক রহমান চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে নেত্রকোনায় দুই দিনব্যাপী খনার মেলা গাইবান্ধায় আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ৬, আটক ৩ মার্চ ফর গাজায় যোগ না দেয়ায় ইপিজেডে হামলা, গ্রেপ্তার ৪৫ ৩ মাস ধরে বন্ধ ইয়াংগুন-টেকনাফ সীমান্ত বাণিজ্য বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা : সপ্তাহব্যাপী সাংগ্রাই উৎস‌ব উদ্বোধন বিজুর পাজন আপ্যায়ন: ৩২ ধরনের সবজির এই তরকারি খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরাদের বৈসু উৎসব শুরু

কালীগঞ্জে মাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে কীটনাশকমুক্ত করলা চাষ

প্রভাত রিপোর্ট / ৯ বার
আপডেট : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

নুরুল ফেরদৌস, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট জেলা কালীগঞ্জে চলবলা ইউনিয়নে মদনপুর গ্রামে করলা চাষ করেন কৃষকেরা। শীত কিংবা গ্রীষ্ম সব সময়ই পুষ্টি সমৃদ্ধ তরকারি হিসেবে করলার চাহিদা রয়েছে। দাম ও চাহিদা ভালো থাকায় করলা চাষ এখন অনেক কৃষকের আয়ের একটি ভালো উৎস।
চলবলা ইউনিয়নে মাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করেছেন কৃষকেরা। ওপরে মাচা, নিচে মালচিং পেপার পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে করলা চাষে। একই সঙ্গে দুুুুই পদ্ধতি ব্যবহার করে একদিকে যেমন ফসলের রোগবালাই কমেছে, তেমনি কমেছে কীটনাশকের প্রয়োগ। উৎপাদন খরচও কমেছে অর্ধেক।
করলা চাষিরা বলছেন, করলা চারা রোপণে মাটিতে মালচিং পেপার ব্যবহারে সেচ কম লাগে, জমিতে আগাছা জন্মায় না। আর মাচা পদ্ধতিতে করলায় পচনধরা রোগসহ রোগবালাই নেই। ফলে কীটনাশকমুক্ত সবজি পাচ্ছে মানুষ।
কৃষি বিভাগ বলছে, মাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে করলা চাষ করে চাষিদের খরচ কমেছে। আর কালীগঞ্জে এই প্রথম উৎপাদিত কীটনাশকমুক্ত করলা যাবে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বাজারে।
লালমনিরহাট জেলায় কালীগঞ্জে এ বছর প্রায় ১ একর জমিতে মাচা ও মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে করলা- লিডার জাতের হাইব্রিড করলা মদন পুরে চাষ হয়। লালমনিরহাটের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তা ডক্টর সাইখুল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মদনপুর গ্রামের করলা চাষি মাসুদ রানা বলেন, মাটিতে করলা আবাদ করে সেচ, সার ও কীটনাশক বেশি বেশি দিতে হতো। গাছে ফুল আসার সময় বিভিন্ন মাটিবাহিত রোগে ফলন বিপর্যয় হতো। উৎপাদন খরচ হতো বেশি। এ বছর কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিয়ে মাচা ও মালচিং পদ্ধতিতে করলা আবাদ করে ভালো ফলন হচ্ছে। রোগবালাই নেই। এক একর জমিতে করলা আবাদ করতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০হাজার টাকা। প্রতি কেজি করলা পাইকারি বিক্রি করছি ৫০টাকা ও ৬০ টাকায়। প্রতি সপ্তাহে আমার এক একর জমি থেকে ১০ থেকে ১২ মণ করলা পাওয়া যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, করলা (করল্লা,) এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি। এলার্জি প্রতিরোধে এর রস দারুণ উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটি উত্তম। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে করলার রস খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। করলায় যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ছাড়াও এতে রয়েছে বহু গুণ।
লালমনিরহাটে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক ড়:সাইখুল আরেফিন বলেন, জেলার মাটি ও আবহাওয়া সব সবজির জন্যই উপযোগী। জেলার কৃষিই একমাত্র মাধ্যম। বিশেষ করে নানা ধরনের সবজি জেলার কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। আমরাও কৃষকদের প্রযুক্তির দিকে নিয়ে আসছি। এ বছর মাচায় করলা চাষ হয়েছে। মাটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মালচিং পেপার। এতে রোগবালাই কম, সেচ খরচ কম, আগাছা হচ্ছে না। কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও