প্রভাত স্পোর্টস: চেলসির মাঠের সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। প্রিমিয়ার লিগে এখন পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে আছে দলটি। তবে শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও চেলসির অবস্থা সুবিধার নয়। চেলসির মূল কোম্পানি ২২ হোল্ডকো লিমিটেডের বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির কথা সামনে এসেছে এবার। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত দুই মৌসুমে চেলসির মালিকের ক্ষতি পরিমাণ নাকি ১০০ কোটি পাউন্ডের (১ বিলিয়ন) বেশি। ২২ হোল্ডকো লিমিটেড নামের এই প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য চেলসির পাশাপাশি আরসি স্ত্রাসবুর্গ এবং চেলসি নারী দলেরও মালিক। সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, গত মৌসুমে ৪৪ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ড ক্ষতির শিকার হওয়া প্রতিষ্ঠানটির আগের মৌসুমে ক্ষতি হয়েছে ৬৫ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড। খেলোয়াড়দের পেছনে বেশি বিনিয়োগের কারণেই বিশাল অঙ্কের এই ক্ষতির মুখে পড়েছে ক্লাবটি।
২০২২ সালে টড বোয়েলি দায়িত্ব নেওয়ার পর চেলসি খেলোয়াড়দের পেছনে ১০০ কোটি পাউন্ডের ওপর বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে তারা ১০ কোটি ৬৭ লাখ পাউন্ডে এনজো ফার্নান্দেজ, ময়েজেস কাইসেদোকে ১১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডে, মিখাইলো মুদরিককে ৮ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ডে এবং ৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডে কিনেছে ওয়েসলি ফোফানাকে। মালিকের বড় ধরনের ক্ষতি হলেও একই সময়ে ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১২ কোটি ৯৬ লাখ পাউন্ড লাভের কথা জানিয়েছে চেলসি। চেলসির লাভ এবং মূল প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির বিষয়টি মূলত প্রিমিয়ার লিগের আর্থিক নীতির কারণে ভিন্ন দেখাচ্ছে। যেখানে এই আয় মূল কোম্পানির আয় হিসেবে দেখানোর সুযোগ নেই। এর মধ্যে রয়েছে চেলসি নারী দলের একটি সহযোগী কোম্পানির কারণে ২০ কোটি পাউন্ড বিক্রয় এবং দুটি স্টামফোর্ড ব্রিজ হোটেলের ৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের বিক্রয়। এই দুই খাত থেকে আয়কে প্রিমিয়ার লিগের আর্থিক নীতিতে লাভ হিসেবে দেখানো হলেও মূল প্রতিষ্ঠানের জন্য দেখানোর সুযোগ নেই।