• শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় পরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তি

প্রভাত রিপোর্ট / ৯ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫

জাহাঙ্গীর আলম শেখ, গাজীপুর: রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুর থেকে বের হওয়ার পথ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। গতকাল অধিকাংশ কারখানায় ছুটি করে। আজ বৃহস্পতিবার বাকি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করায় মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ গতকালের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। বিকেলে চন্দ্রায় যাত্রীদের ঢল নামে।
খোরশেদ আলম নামে এক যাত্রী বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও বাস পাইনি। গতরাতে অনেক গাড়ি আটকে ছিল জ্যামে। সেই বাসগুলো এখনো ফিরে আসতে পারেনি। এ কারণেই পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।গাজীপুরে ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ শ্রমিক। গতকাল কয়েক ধাপে কারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি ঘোষণা করায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বজনদের সাথে ঈদ করতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে গাজীপুর ছাড়ছেন। শনিবার (৭ জুন) দেশব্যাপী উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর থেকে স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতিমধ্যে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে মানুষ। গতকাল বুধবার অধিকাংশ এবং আজ বৃহস্পতিবার বাকি কারখানা ছুটি ঘোষণা করায় ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ যাত্রা শুরু করেছেন। আর এতেই ঢল নেমেছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত গাজীপুরের চন্দ্রায়। তবে সড়কে পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। রাতভর যানজটে আটকে থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকায় ফিরতে না পারায় পরিবহন সংকটের কথা জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বাসের জন্য অপেক্ষমান কায়কোবাদ আলম বলেন, আজ কারখানায় গিয়ে শুধু হাজিরা দিয়েই সবার সাথে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে বের হয়েছি। বের হয়েই বৃষ্টিতে আটকা পড়েছিলাম। কোনো মতে চন্দ্রায় এসেছি। এসে দেখি উত্তরবঙ্গের অনেক গাড়ি ফেরত আসেনি। যাও আসে সেগুলোর বেশির ভাগই বুকিং করা। অনেকটা অনিশ্চয়তায় এখনো বাসের অপেক্ষায় আছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য জানান, রাতে চন্দ্রা ও টাঙ্গাইলে প্রচুর যানজট ছিল। যানজটের কারণে গাড়িগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে সঠিক সময় পৌঁছাতে পারেনি। যাত্রী নামিয়ে আবার যে সময়ে গাড়িগুলো ঢাকায় প্রবেশের কথা ছিল যানজটের কারণে সঠিক সময়ে সেই গাড়িগুলোও আসতে পারেনি। এ কারণে কিছুটা পরিবহন সংকট রয়েছে।
নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশসহ র‌্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও যাত্রীদের নিরাপত্তায় ছিনতাই রোধে পুলিশের আলাদা টিম কাজ করছে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও