প্রভাত স্পোর্টস : টেস্টে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন নাজমুল হোসেন। কলম্বো টেস্টে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান নাজমুল। বিসিবিকেও নিজের এই সিদ্ধান্ত তিনি জানিয়েছেন।
কলম্বো টেস্টে শনিবার (২৮ জুন) চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কার কাছে ইনিংস ও ৭৮ রানে হারে বাংলাদেশ। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান নাজমুল। ২০২৪ সালে তিন সংস্করণেই অধিনায়কত্ব পান নাজমুল। এ বছরের শুরুতে টি–টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। এই সংস্করণে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় লিটন দাসকে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে তাঁকে না জানিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। এরপরই থেকেই গুঞ্জন ছিল টেস্টের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিতে পারেন নাজমুল। কলম্বো টেস্টের আগে এ নিয়ে জানতে চাইলেও তখন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। এবার ম্যাচের পর টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিলেন তিনি।
টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমার একটা ঘোষণা ছিল আমি বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি। আমি টেস্ট ফরম্যাটে আর অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চাই না। আমি একটা জিনিস সবাইকে ক্লিয়ারলি মেসেজটা দিতে চাই যে, এটা কোনো পারসোনাল কোন কিছু না। এটা দলের ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্তটা নেয়া এবং এটাতে দলের ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি। আমার ব্যক্তিগত মতামত যে তিন অধিনায়ক একটু ডিফিকাল্ট হতে পারে। পুরোটা দলের ভালোর জন্য আমি এখান থেকে সরে এসেছি।’
সম্প্রতি ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে দেয় বিসিবি। তার জায়গায় এসেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এর আগে শান্ত নিজেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে। সেইসময় বোর্ডকেও জানিয়েছিলেন, তিনি টেস্ট ও ওয়ানডে দল চালাতে চান।
বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল পরবর্তীতে বলেছিলেন, শান্তর অধিনায়কত্ব (ওয়ানডে) কেড়ে নেওয়া হয়নি। বরং বোর্ডের সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি শান্ত নিজেও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতায় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন বোর্ড সভাপতি।