• সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

ওএমএসের মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তা করছে সরকার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রভাত রিপোর্ট / ৫ বার
আপডেট : সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

প্রভাত রিপোর্ট: কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ওএমএসের (খোলা বাজারে বিক্রি) মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা একথা জানান। তিনি বলেন, গতবার যে দামে আলু কিনেছেন… এবার কিন্তু কৃষক আলুর দাম পাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি কৃষক যাতে আলুর দাম পায়, এজন্য ওএমএসের মাধ্যমে যাতে আলুটা দেয়া যায় এজন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। ওএমএসের মাধ্যমে যাতে আলুটা দেয়া যায়। কৃষক যদি পণ্যের দাম না পায় পরবর্তী সময় কিন্তু তারা এটি উৎপাদনের দিকে যাবে না। এজন্য চেষ্টা করতে হবে কৃষক যাতে ন্যায্য দামটা পায়।
উপদেষ্টা বলেন, গতবার যে পরিমাণ পেঁয়াজের দাম ছিল। এবার কিন্তু কৃষক অনেক বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন করেছে। পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি করায় এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেও কিন্তু বাজারটা মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। এগুলো কিন্তু কৃষকেরই অবদান। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করার জন্য কৃষককে ৮ হাজার এয়ার ফ্লো দেওয়া হয়েছে। কৃষক যাতে তার বাড়িতে পেঁয়াজটা সংরক্ষণ করতে পারে।
কৃষি উপদেষ্টা আরও বলেন, একশ মিনি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করার আমাদের পরিকল্পনা আছে। আগামী মৌসুমের আগেই হয়তো আমরা এটি কমপ্লিট করতে পারবো। এরপর আস্তে আস্তে সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে কৃষকরা সেখানে সবজিটা সংরক্ষণ করতে পারবে। তারা ন্যায্য মূল্যটা পাবে একই সঙ্গে আমরা ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে পণ্য পাবো।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশ যারা বাঁচিয়ে রেখেছেন তাদের মধ্যে কৃষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। আমরা তাদের অবদানটা সেভাবে প্রকাশ করি না। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পাঁচটি জেলা বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে কিছু আউশ এবং আমন ধানের ক্ষতি হয়েছিল। কৃষকরা পরিশ্রম করে আমাদের আমন ধানের যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, এর চেয়ে ১৫ লাখ টন বেশি উৎপাদন হয়েছে। তারপরও চালের দাম ২/৩ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। খাদ্য শস্যের মজুত এবার কিন্তু অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি।
আওয়ামী লীগের আমলে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনায় দুর্নীতি হয়েছে জানিয়ে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, এটার অনুসন্ধান আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এজন্য আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য বলেছি। যারা দুর্নীতি করেছে তারা যেন শাস্তির আওতায় আসে।
ডিএপি সারের মধ্যে ২০ শতাংশ ইউরিয়া সার থাকে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা এ বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আমরা ইউরিয়া সার ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে আমরা সার্বিকভাবে স্যারের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, খামারি অ্যাপ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। কোন স্থানে দাঁড়িয়ে সেখানে কোন ধরনের সার লাগবে সেটা অ্যাপ বলে দিতে পারবে। ওই এলাকায় কোন ফসল ভালো হবে, সেটাও বলে দেবে। এটা যাতে আরও উন্নত করা যায়, সেই বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।
সারের ডিলারশিপ দিতে নতুন করে নীতিমালা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, যারা সারের লাইসেন্স নিয়ে ঝামেলা করছে, আমরা তাদের বাদ দিয়ে নতুন করে লাইসেন্স দেবো। যারা ভালো লোক আমরা তাদের লাইসেন্স দেওয়ার চেষ্টা করবো। বর্তমানে দেশে সারের কোন ঘাটতি নেই। নভেম্বর পর্যন্ত সারের কোন সংকট হবে না বলেও জানান কৃষি উপদেষ্টা।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও