• মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ইতিবাচক উত্তর দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে চাকরিপ্রাপ্তদের তথ্য সংগ্রহ করছে সরকার ১/১১ এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে: উপদেষ্টা মাহফুজ এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ক্রোকের নির্দেশ ব্যাংকে পদোন্নতির জন্য তদবির করলে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে দেখবে সরকার এনসিপি ‘কিংস পার্টি’, তাদের দুজন সরকারে: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ মুরাদনগরে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছেন: ছাত্রদলের সম্পাদক দেশে আবার একটা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল ভোটের অধিকার ও বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে বিএনপি: তারেক রহমান

ফ্লাইট এক্সপার্টের তিন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রভাত রিপোর্ট / ১২ বার
আপডেট : রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫
ছবি সংগৃহীত

প্রভাত রিপোর্ট: উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’-এর বিরুদ্ধে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ফ্লাইট এক্সপার্টের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- এজেন্সির হেড অব ফাইন্যান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আজ রবিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, বিপুল সরকার নামে এক গ্রাহক গতকাল শনিবার রাতে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। এতে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুজন আসামি হলেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তাঁর বাবা এম এ রাশিদ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৭টি ভুক্তভোগী এজেন্সি তাদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট এক্সপার্ট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো গ্রাহক ও টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি। তাঁরা অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছিলেন।
ফ্লাইট এক্সপার্টের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে মালিকপক্ষ দেশ ছেড়েছে। এতে গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কোটি কোটি টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে ফ্লাইট এক্সপার্টের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মানুষ সেখানে ভিড় করেছেন। তাঁদের অনেকেই বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ও টিকিট বিক্রেতা এজেন্সির প্রতিনিধি, যাঁরা নিজেদের কেনা টিকিটগুলো কী হবে, তা জানতে চান। কিন্তু কার্যালয়ে গিয়ে অধিকাংশই হতাশ।
২০১৭ সালের মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ফ্লাইট এক্সপার্ট। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন (কক্ষ সংরক্ষণ), ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো বিভিন্ন সেবা দিত তারা। বিশেষ করে কম খরচে সহজে টিকিট বুকিংয়ের সুবিধার কারণে প্ল্যাটফর্মটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ফ্লাইট এক্সপার্ট নিজেরা সরাসরি উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে টিকিট না নিয়ে দুটি মধ্যস্থতাকারী এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করত। এখন ওই দুটি এজেন্সি নিজেদের কেনা টিকিটগুলো রিফান্ড (ফেরত) করে অর্থ তুলে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।
ফ্লাইট এক্সপার্টের অভ্যন্তরীণ একটি ফেসবুক গ্রুপে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রশিদের একটি বার্তার স্ক্রিনশট দেখা যায়। সেখানে তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি নিজেকে হুমকি ও অপবাদ থেকে রক্ষা করতেই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিচ্ছেন এবং দেশ ছাড়ছেন।
হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান বিন রশিদ টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও