প্রভাত রিপোর্ট: ঢাকার আকাশে সকাল থেকেই ঝরছিল বৃষ্টি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। দুপুরের দিকে নামে মুষলধারে। সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষদের। বৃষ্টিতে উপার্জন কমায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষেরা। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে রাজধানীর রমনা, পুরানা পল্টন, শান্তিনগর, মগবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে সাধারণ পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শ্রমজীবীদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে তাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। যারা রিকশা চালান তারা যাত্রী পাচ্ছেন না। সিএনজি অটোরিকশা বা অন্য যানবাহনগুলোতেও যাত্রীর চাপ কম। এছাড়া যারা ছোটোখাটো ব্যবসা করে সংসার চালান টানা বৃষ্টিতে আয়-রোজগার কমায় তারাও পড়েছেন বিপাকে।
দৈনিক বাংলার মোড়ে রিকশাচালক আনিসুর বলেন, ‘সকাল থেকে ভাড়া বেশি পাইনি। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কম। সকালে অফিস টাইমে কিছু ভাড়া ছিল, কিন্তু তখন যানজটের কারণে দু-একটির বেশি ভাড়া ধরা যায়নি। আজ সারাদিনে ৫০০ টাকা নিয়েও ঘরে ফিরতে পারবো না।’
টানা বৃষ্টিতে গরম কমছে না, গরমে ক্লান্তির কথা জানিয়ে রিকশাচালক মাহমুদ বলেন, ‘দুপুরের পর বৃষ্টি কিছুটা কমছে, কিন্তু গরম না কমায় একটানা শরীর ঘামছে। ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। সকাল থেকে যাত্রী ছিল না, এখন মানুষ বের হচ্ছে, অফিস ছুটি হবে। কিন্তু শরীর ক্লান্ত লাগছে।’
থেমে থেমে চলা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়তে দেখা গেছে সাধারণ মানুষদের৷ রাজধানীর শ্যামলী, কলেজগেট, আসাদগেট এলাকা ঘুরে বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তির চিত্র চোখে পড়ে। সেসব এলাকায় সকালে অফিসগামী অনেককেই বৃষ্টিতে ভিজে গাড়ির অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। অনেককে বৃষ্টিতে ভিজেই ‘বাদুর ঝোলা’ হয়ে গণপরিবহনে চড়তে দেখা যায়। এছাড়া রাজধানীর অনেক প্রধান সড়কে জমা পানি ও খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে। এসময় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১৭ মিলিমিটার।