প্রভাত স্পোর্টস : এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার ভালো সুযোগ থাকলেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। বড় টুর্নামেন্টে তাদের ব্যর্থতার দৃশ্য অবশ্য এখন নিয়মিত হয়ে উঠেছে। সুপার ফোরে দলের এমন হতাশার বিদায় মাঠের বাইরে থেকে দেখেছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। তার অনুপস্থিতিতে শেষ দুটি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন জাকের আলি অনিক। এমনকি আফগানিস্তান সিরিজেও জাকেরই অধিনায়কত্ব করবেন।
পাঁজরের ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে কাটাতে হবে লিটনকে। ফলে বাংলাদেশ দল আফগান সিরিজ খেলতে আরব আমিরাতে অবস্থান করলেও, তিনি গতকাল (বুধবার) রাতে দেশে ফিরেছেন। এশিয়া কাপে লিটন যে দুই ম্যাচে ছিলেন না দুটিই ছিল বড় দলের (ভারত-পাকিস্তান) সঙ্গে। সেই দুই ম্যাচে জাকেরের অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, বিশেষ করে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও তিনি ছিলেন অনুজ্জ্বল।
দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন লিটন। জাকেরের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দল অনেক ভালো। আমি অনেক খুশি। প্রতিদিন একই পারফর্ম হবে না। দুয়েকদিন খারাপ যাবে, আমাদেরও গেছে। যত দ্রুত এগুলো ওভারকাম করা যায়। জাকের আলি অনেকদিন পরে এমন বড় দায়িত্ব পেল ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে। একজন যখন রেগুলার অধিনায়কত্ব করে না, তার জন্য কঠিন। তবে সে ভালো ফিডব্যাক দিয়েছে। এতদিন না করেও যেভাবে অধিনায়কত্ব করেছে বাংলাদেশের। আশা করি সামনের সিরিজে আরও ভালো করতে পারবে।’
এশিয়া কাপে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কেবল সাইফ হাসান। টুর্নামেন্টে দেশের এই সেরা রানসংগ্রাহককে নিয়ে লিটন বলেন, ‘(সাইফকে নেওয়ার ব্যাপারে) রাইট-রংয়ের কিছু নেই। খেলোয়াড় নির্বাচনের সময় আমরা ধারণা নিয়েই করি। সাইফ যে স্টাইলে ব্যাট করে আমিরাতে এটা কাজে লাগবে হয়তো (এমন চিন্তা ছিল)। সে সোজা ব্যাটে ভালো খেলে। মাঝে ১-২ ওভার বলও করতে পারে। সে খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। যা এই টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশ দলের বড় পাওয়া। আশা করব সামনেও ভালো করে যাবে।’
আফগানিস্তান সিরিজে খেলতে না পারলেও দলের প্রতি প্রত্যাশা জানিয়ে এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জানান, ‘(সিরিজের) প্রস্তুতি খুবই ভালো। প্লেয়াররা সেখানে আছে। কন্ডিশন ও টিম নিয়ে জানে সবাই।’ এরপর নিজের চোটের আপডেট প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘এখন কিছু জানি না। ফিজিওর সঙ্গে দেখা করি, কথা বলি।’