খান সুমন, কচুয়া: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গেল রবিবার ও সোমবার সহস্রাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী দের সাথে ভার্চুয়ালি কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। এই সভায় যোগ দেয়, বাগেরহাট জেলার বর্তমান তিনটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীরা। তিনটি আসনের মনোনয়ন দৌড়ে থাকা এবং চেয়ারপার্সনের মতবিনিময় সভায় ডাক পাওয়া প্রার্থীরা হলেন, বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট, বাগেরহাট উপজেলা) : সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, ব্যারিস্টার মেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মাসুদ রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম জগলু। বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা উপজেলা) : কেন্দ্রীয় বিএনপির গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল হালিম খোকন। বাগেরহাট-৩ (কচুয়া, মোড়লগঞ্জ, শরণখোলা) : কেন্দ্রীয় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট মামলার আসামী খান মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, ড. মনিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট নিপা আক্তার।মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের বক্তব্য শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আগামী নির্বাচনে সবাই মিলেমিশে ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারেক রহমানের বক্তব্য শুনে অনেকেই কেঁদে ফেলেন। সভায় অংশগ্রহনকারী জেলা বিএনপি নেতা ও জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাভোগকারী খান মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য কঠিন বাস্তব ও আবেগ ঘন ছিল। বক্তব্য শুনে অনেকের মতো আমার চোখ থেকেও পানি ঝরেছে। জানিনা আমরা যারা প্রার্থী হিসেবে ওখানে উপস্থিত ছিলাম তাদের সবার মনের দাগ কেটেছে কিনা। যদি দাগ কেটে থাকে তাহলে অতিসত্বর স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার সকল প্রার্থীদের একসাথে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাওয়ার জন্য মাঠে নামা জরুরী।খান মনি আরও বলেন, জিয়া চেরিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আওয়ামী সরকারের ফরমায়েসি রায়ে দীর্ঘ সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করেছি। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় স্ত্রী, নাবালক সন্তানদের রেখে দল ও দলের চেয়ারপার্সনের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও ভালবাসায় নিজের জীবনের সুখ বিসর্জন দিয়েছি। দল কাকে নমিনেশন দিবে সেটা বড় বিষয় নয়, দলের ক্ষুদ্র একজন কর্মী হিসেবে ব্যক্তি নয়, দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে। আসেন একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ি এবং সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করি।