নুরুল ইসলাম সুমন,কক্সবাজার : দীর্ঘ নয় মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে পুনরায় চালু হলো কক্সবাজার–সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। মৌসুমের প্রথম দিন সোমবার সকাল ৭টায় নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট থেকে ১,১০০ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয় তিনটি জাহাজ—এমভি বার আউলিয়া, এমভি কর্ণফুলী ও কেয়ারি সিন্দাবাদ।
জেলা প্রশাসনের কঠোর তদারকিতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ন্ত্রণ, প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধকরণসহ নানা নির্দেশনা কার্যকর করা হয়। পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথম দিনের যাত্রীদের হাতে অ্যালুমিনিয়ামের পানির বোতল তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক এম এ মান্নান।
সকালে জেটিঘাটে এসে যাত্রীদের স্বাগত জানান জেলা প্রশাসক এম এ মান্নান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম, কক্সবাজার সদরের ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। তারা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নও ঘনিষ্ঠভাবে তদারকি করেন।
সরকার ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনা মেনে ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকদের সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম দিনের সব টিকিট আগে থেকেই বিক্রি হয়ে যায় এবং তিন জাহাজে মোট ১,১০০ যাত্রী দ্বীপের পথে রওনা হন।
‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (স্কোয়াব)-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, “মৌসুমের প্রথম যাত্রার পূর্ণ প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া ছিল। প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ পরিবেশে যাত্রা শুরু করতে পেরেছি। আগামী মৌসুমে কমপক্ষে চার মাস রাত্রিযাপনের সুযোগ মিললে জাহাজ মালিকরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।”
গত ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক প্রবেশ উন্মুক্ত হলেও রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এতদিন কোনো জাহাজ চলাচল করেনি। এবার চারটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেয়েছে নুনিয়ারছড়া জেটি। প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।