• মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম

পলাশবাড়ীতে বালু খেকো গ্রেফতার

প্রভাত রিপোর্ট / ১৭ বার
আপডেট : সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

মো.নজরুল ইসলাম,গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পরিবেশ বিপন্ন করে অবৈধ পন্থায় বালু উত্তোলন করায় এলাকার চিহ্নিত বালু খেকো আমিনুলকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে কৃষি জমি ও আবাসিক এলাকার পরিবেশ ধ্বংস করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়বাসীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায, আমিনুল ইসলাম জামায়াতের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অত্রালাকা জুড়ে শুধু বালু উত্তোলনই নানাভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তিনি ৫ আগস্ট পরিবর্তিত সময়ের পর থেকে নিজেকে একজন বড় মাপের জামায়াত নেতা দাবী করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানাবিধ অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন। বালু উত্তোলন ছাড়াও জমি জবর দখল, ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি, পরিকল্পিত মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, মহিলাদের সম্মানহানি ও রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধামকিসহ অসংখ্য অপরাধে জড়িত বলে এলাকাবাসীর অভিযোগের যেন শেষ নেই। কেউই তার বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস না করায় তার অবৈধ দাপট যেন দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠে। কেউ কিছু বললেই তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে তাদের ওপর হামলা ও হয়রানি করে থাকেন বলে জানা যায়।
গত রোববার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় ভুক্তভোগীদের এক অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আমিনুলকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান ডিপটি অভিযোগে জানান, আমিনুলের নেতৃত্বে ফারুক, রাকিব, জাকির ও শাহিনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী মিলে তার বন্ধক রাখা কৃষি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন করে আসছিল। এতে বাধা দেয়ায় সংঘবদ্ধ চক্রটি তাদের প্রাণনাঁশের হুমকি, গালমন্দ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
তিনি আরো জানান, এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তার বাড়ি ব্যাপক ভাঙনের মুখে পড়েছে। এছাড়া আশপাশের কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
একই অভিযোগ করেছেন মতলুবর রহমান মন্ডল, মোছাঃ শিউলী বেগম, রুনা বেগম, শাহিন মিয়া, রিমা বেগম ও রতন মিয়াসহ ক্ষতিগ্রস্তÍ অন্যান্যরা।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ক্ষতিগ্রস্তÍ ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে গাইবান্ধা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প, পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবং থানা অফিসার ইনচার্জের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবী জানান। পরবর্তীতে আমিনুল ইসলামের মালিকানাধীন কেত্তারপাড়া নামক স্থানে তার ইটভাটায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। থানা অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভূট্টো গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে, চরম ক্ষব্ধ ভুক্তভোগী মহল অবৈধ ড্রেজার মেশিন অপসারণসহ সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও