• রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
খুলনা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার ফল উৎসব ফিজিওথেরাপি সেন্টারে অভিযান ও হয়রানি বন্ধের দাবি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংকট তৈরির ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: ফারুক অকাল মৃত্যু ঠেকাতে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংস্কার জরুরি উন্নয়নের ধারা টেকসই করতে গাছ লাগানোর আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার পুরোনো রাজনীতিতে ফেরা অতটা সহজ হবে না : নাহিদ ইসলাম আগে সংস্কার পরে নির্বাচন হবে এটা শুনতে চাই না : মঈন খান ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: ডিএমপি মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক দল ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে: রিজভী সরকারের একটি অংশ স্থিতিশীলতা বিনষ্টের অপচেষ্টা চালাচ্ছে: যুবদল সভাপতি

নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রভাত রিপোর্ট / ৮ বার
আপডেট : শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

মাহফুজুর রহমান,নোয়াখালী : ২০২৪ সালের বন্যার রেশ না কাটতেই গত পাঁচ দিনের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতে আবারো জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে নোয়াখালী। এতে জেলার ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। এই জলাবদ্ধতার জন্য খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা, খালে পানির গতিরোধ করে বাঁধ ও ছোট ছোট কালর্ভাট নির্মাণকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে জেলা সদর উপজেলার ডাক্তার বাজারে নোয়াখালী ইউনিয়নে খাল দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বাঁধ কেটে পানির গতি স্বাভাবিক করে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
নোয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আক্তার হোসেনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সদর উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি হারুন অর রশিদ। এসময় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় ভুক্তভোগী দুই শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সদর উপজেলার সোনাপুর-মান্নান নগর-চরজব্বর খালের নোয়াখালী ইউনিয়নের অংশ ডাক্তার বাজার, মান্নান নগর, খলিল মিয়ার দরজা এলাকা, কালিতারা বাজার থেকে সাহেবের হাট খাল, নোয়াখালী মৌজার শাখা খাল, ঠক্কর-খলিলপুর-মুরাদপুর ও মতিপুর এলাকার খালগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় কিছু অসাধু ব্যক্তি দখল করে বাড়িঘর, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মানসহ খালের মধ্যে ছোট ছোট বাঁদ ও কালর্ভাট নির্মাণ করায় পানির স্বাভাবিক ক্ষতিরোধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পুরো ইউনিয়ন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যার কারণে কৃষি জমির সবজি, আউশ ধান ও আমন ধানের বীজতলা ডুবে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বক্তারা বলেন, গেল বছর ভয়াবহ বন্যার পর খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের একাধিকবার প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যার কারণে মাত্র কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সব ধ্বংস হয়ে গেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারিভাবে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আন্দোলনে নামার হুশিয়ারী দেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত বলেন, খাল খনন কিংবা সংস্কারে সরকারিভাবে কোন বরাদ্ধ দেয়া হয়নি। তার পরও তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে কয়েকটি খাল পরিস্কার ও সংস্কার করেছেন এবং চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে ইউনিয়নের দুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। যতটুকু পেরেছেন মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। কিন্তু ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার, মান্নান নগর-কেরামত নগর খাল, কালিতারা-সাহেবের হাট খাল, নোয়াখালী মৌজার শাখা খাল, ঠক্কর-খলিলপুর-মুরাদপুর ও মতিপুর এলাকার খালগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় দখল করে অবৈধ স্থাপনা ও ছোট ছোট বাঁধ, কালর্ভাট নির্মাণ করায় পানি নামতে পারছে। ফলে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা সরকারিভাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করলে তাদেরকে সহযোগিতা করবেন বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি। এদিকে, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে পানির গতিরোধ হওয়া বিভিন্ন খাল পরিষ্কার করেন ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং ভুক্তভোগী কৃষকরা।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও