প্রভাত স্পোর্টস : কোনো ফরম্যাটেই স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ দল। এমনকি লড়াই করতেও ব্যর্থ হচ্ছে টাইগাররা। এমন পরিস্থিতিতে এক পশলা স্বস্তি হয়ে এসেছে যেন এক জয়। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৮৩ রানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন শামীম পাটোয়ারী। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ইনিংসের শুরুতে কুশল মেন্ডিসকে করা রান আউট কী ম্যাচের গেম চেঞ্জার ছিল কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে শামীম বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই, এখন আমরা উইন করেছি, ১-১ হয়েছে এখন। ফিল্ডিংটা অনেক জরুরি আমাদের জন্য। এটা আসলে বেশি খুশি হওয়ার কিছু নেই। প্রতিদিনই এটা আমার জব।’ পরে সিরিজ জেতার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে শামীম জানান, ‘অবশ্যই ওয়ানডে সিরিজে আমরা হেরে গেছি। এখন ১-১ আছে। সিরিজ জেতার সুযোগ আছে আমাদের। আশা করি যদি ভালো করতে পারি অবশ্যই সিরিজটা জিততে পারব ইনশাল্লাহ। অবশ্যই (জেতার) আত্মবিশ্বাস সবসময় থাকে। (দলের একাদশে) চেঞ্জ তো হয়, দলের ভালোর জন্য। জিততে পেরেছি এটা ভালো লাগছে।’ নিজের ব্যাটিং প্ল্যান নিয়ে শামীম বলেন, ‘আমি ব্যাটিংয়ে গেলে সবসময় আমার প্ল্যান থাকে ইতিবাচক থাকার। রিস্ক নিতেই হবে কারও না কারও। তো আমি নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে রিস্কটা নিয়ে ফেলি। এবিডির (এবি ডি ভিলিয়ার্স) ব্যাটিং পছন্দ করি সবসময়। আমি সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। এই টি-টোয়েন্টি খেলাটাই যত বেশি ইতিবাচক থাকব আমি মনে করে তত ভালো।’
প্রসঙ্গত, আগে ব্যাট করতে নেমে ১৭৭ রানের বড় পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে ২৭ বলে ৪৮ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন শামীম। জবাব দিতে নামা লঙ্কানদের প্রথম উইকেট ছিল রান আউট। সিরিজজুড়ে দারুণ ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিসকে দারুণ এক থ্রোতে রান আউট করেছেন শামীম। বোলারদের বোলিং নৈপুণ্যে মাত্র ৯৪ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ৮৩ রানের রাজকীয় এক জয়।
তাঁর দুটি ভূমিকা, ব্যাটিং এবং বোলিং। কখনো কখনো একটায় সফল না হলে আরেকটায় পুষিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু এমনও দিন আসে, যখন ব্যাটিং, বোলিং কোনোটাই ভালো হয় না। গ্লোবাল সুপার লিগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে এমন অভিজ্ঞতাই হলো সাকিব আল হাসানের। গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ‘ফ্লপ’ অলরাউন্ডার সাকিব। যেমনটা কেটেছে এর আগের ম্যাচেও। সাকিবের আরেকটি ‘টাফ ডে’র ম্যাচে হেরেছে তাঁর দল দুবাই ক্যাপিটালসও। মঈন আলীর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে গায়ানা অ্যামাজন ৫৭ রানে হারিয়েছে দুবাই ক্যাপিটালসকে। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে গায়ানা অ্যামাজন তোলে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান। দুবাইয়ের হয়ে ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার কলিম সানা। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন ডমিনিক ড্রেকস, কায়েস আহমেদ ও গুলবাদিন নাইব। সাকিব ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২১ রান দিয়ে উইকেট পাননি। রান তাড়ায় সাকিব ব্যাট করতে নামেন পাঁচ নম্বরে। ততক্ষণে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দুবাই। এমনকি টানা দুই বলে উইকেট হারানোয় সাকিব ছিলেন রোমারিও শেফার্ডের হ্যাটট্রিকের মুখে। সাকিব সেটা সামলে নিয়েছেন ভালোমতোই। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেফার্ডকে একটি চার মারার পরের ওভারে মঈন আলীর বলে হন বোল্ড। মাঠ ছাড়েন ৫ বলে বাউন্ডারির ৪ রান নিয়েই। শেষ পর্যন্ত দুবাই ক্যাপিটালস ৮১ রানে অলআউট হলে বড় ব্যবধানেই হারেন সাকিবরা। এর আগে হোবার্ট হারিকেনসের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল দুবাই। সে ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে ১০ বলে ৭ রান আর বল হাতে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।
এখন পর্যন্ত গ্লোবাল সুপার লিগে ৩ ম্যাচ খেলে একটিতে জিততে পেরেছে দুবাই। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের বিপক্ষে সে ম্যাচে সাকিব ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৮ রান ও ১৩ রানে ৪ উইকেট নেন। এই মুহূর্তে পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে ২ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করছে দুবাই। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গায়ানা অ্যামাজন, ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে দুইয়ে রংপুর রাইডার্স।