প্রভাত স্পোর্টস : ২০২২ বিশ্বকাপে মেসি-দি মারিয়া-মার্তিনেজরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে পেয়েছিলেন ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর চেলসি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে পেয়েছে এর দ্বিগুণের বেশি। প্রায় এক মাসের উত্থান পতন ও নাটকীয় নানা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপ। যেখানে আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে আসা চেলসিই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেছে। ফাইনালে ফেবারিট পিএসজিকে রীতিমতো ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এর মধ্য দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের নতুন সংস্করণের ট্রফি জেতার পাশাপাশি বিপুল অঙ্কের অর্থ পুরস্কার পেয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। এমনকি ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে চেলসির আয় ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার পাওয়া অর্থ পুরস্কারের চেয়ে অনেক বেশি। ২০২২ বিশ্বকাপে মেসি-দি মারিয়া-মার্তিনেজরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে পেয়েছিলেন ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে সময় তা প্রায় ৪৪০ কোটি টাকার সমান ছিল, বর্তমানে ৫১০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি। অন্যদিকে ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য ফিফা ঘোষিত অর্থ পুরস্কারের অঙ্ক ছিল ১ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। যেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন চেলসি সব মিলিয়ে পেয়েছে ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা, যা বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনার পাওয়া অর্থ পুরস্কারের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি।
এ টাকার মধ্যে ২ কোটি ৮৩ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪৪ কোটি টাকা চেলসি পেয়েছে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ বাবদ। আর ৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার তারা পেয়েছে পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে। এর মধ্যে শুধু ফাইনাল জিতেই চেলসির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে প্রায় ৪ কোটি ডলার বা ৪৮৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
রানার্সআপ পিএসজির পকেটেও অবশ্য কম ঢুকেনি। ফেবারিট হিসেবে খেলতে এসে ফাইনালে হারা পিএসজি পেয়েছে ১০ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা ১ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা, অর্থাৎ ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরেও পিএসজির আয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
প্রতিযোগিতা থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ আয় স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের। সেমিফাইনাল খেলা দলটি পেয়েছে ৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার বা ১ হাজার ৯১ কোটি টাকা। আর চতুর্থ স্থানে আছে অন্য সেমিফাইনালিস্ট ফ্লুমিনেন্স। যারা পেয়েছে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৮২৭ কোটি টাকার মতো।