• সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
অতিরিক্ত সংস্কার করতে গিয়ে যেন রাষ্ট্র কাঠামো দুর্বল না হয় : আইন উপদেষ্টা আবুল সরকারকে গ্রেফতার করা মানে আমাকে গ্রেফতার করা : ফরহাদ মজহার আকাশে যত তারা, আইনে তত ধারা: অ্যাটর্নি জেনারেল চ্যালেঞ্জ হলেও নির্বাচন-গণভোট একদিনে হওয়া উচিত : অর্থ উপদেষ্টা বিদেশ ফেরত শিবচরের রাসেলের দৃষ্টিনন্দন এক কমলা বাগান ইএসজি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্টের চুক্তি দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ঢাকা ছাড়লেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় হাফিজুর রহমানের হাইকোর্টে জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই নাজিরপুরে ফার্মেসিতে অগ্নিকাণ্ড,অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নোয়াখালী-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে পথসভা

ইএসজি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্টের চুক্তি

প্রভাত রিপোর্ট / ৬ বার
আপডেট : সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

প্রভাত ডেস্ক: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্পখাত বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের উপযোগী পরিবেশ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুশাসন (ইএসজি) সার্টিফিকেট কোর্স। এই উপলক্ষ্যে রবিবার, (২৩ নভেম্বর) ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্ট।
ইএসজির পূর্ণরূপ হলো এনভায়রনমেন্ট (পরিবেশ), সোশাল (সামাজিক) এবং গভর্ন্যান্স (সুশাসন)। যা হলো একগুচ্ছ মানদণ্ড। এটি ব্যবহৃত হয় কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব পরিমাপ করা জন্য। সাধারণত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইএসজি ব্যবহৃত হয়। সেই সাথে গ্রাহক, সরবরাহকারী, কর্মী এবং সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও এর প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।
এই চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য হলো শেখার এমন সুযোগ তৈরি করা, যাতে পেশাজীবী ও গ্র্যাজুয়েটরা সহজে টেকসই ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। এছাড়াও এর আরেকটি উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানগুলো যেন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং স্টেকহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণে ইএসজিকে তাদের ব্যবসার মূল কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
কোর্সটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইএসজি ফ্রেমওয়ার্ক, রিপোর্টিং, পরিমাপ, অর্থায়ন এবং ইন্ডাস্ট্রিভিত্তিক কেস স্টাডি সম্পর্কে যুগোপযোগী জ্ঞান। বিভিন্ন কারখানার কমপ্লায়েন্স, মানবসম্পদ, ও সাস্টেইনিবিলিটির দায়িত্বে থাকা পেশাজীবীরা এই কোর্সটি করতে পারবেন। সেই সাথে গ্র্যাজুয়েট, উন্নয়নকর্মী, বৈশ্বিক ব্র্যান্ড ও বায়িং হাউসে কাজ করছেন এমন কেউও এই কোর্সে অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
যেসব শিল্পসংগঠন ও প্রতিষ্ঠান টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে তারাও এই উদ্যোগের ফলে উপকৃত হবে। এই সার্টিফিকেট কোর্সটি সুইসকন্টাক্টের প্রমোটিং গ্রিন গ্রোথ ইন দ্য রেডিমেড গার্মেন্ট সেক্টর থ্রু স্কিলস (প্রোগ্রেস) প্রকল্পের অংশ, যা সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ২৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একটি ফোকাস গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে বলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিকস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (ইএসএস) এর প্রফেসর শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা কোর্সটির জন্য প্রয়োজনীয় যেসব দক্ষতা দরকার সেগুলো চিহ্নিত করতে কাজ করছি। আশা করছি যে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি ফলপ্রসু কারিকুলাম তৈরি করতে পারবো। তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম ব্যাচের ভর্তি শুরু হবে। মে বা জুন মাসে দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু হবার কথা।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আমরা অনেকদিন ধরে ইএসজি নিয়ে কাজ করছি। আমরা এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়সহ আন্তর্জাতিক পার্টনারদের সাথে আলোচনা করেছি বলে জানান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার। তিনি আরো বলেন, এই চেষ্টাটা শুধু অ্যাকাডেমিক পর্যায়ে সীমিত নয়। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আমরা টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণ নিয়েও কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে সুইসকন্টাক্টের প্রমোটিং গ্রিন গ্রোথ ইন দ্য রেডিমেড গার্মেন্ট সেক্টর থ্রু স্কিলস (প্রোগ্রেস) প্রকল্পের টিম লিডার ফারজানা আমিন বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতকে পরিবেশবান্ধব করা ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে কাজ করছে সুইসকন্টাক্ট। তিনি বলেন, এই খাতে দক্ষ পেশাজীবীর অভাব রয়েছে এবং দেশীয় পরামর্শকও খুব কম। এই কোর্সটি ভবিষ্যতে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম চালুর রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই চুক্তিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষে স্বাক্ষর করেন ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম এবং সুইসকন্টাক্টের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ফারজানা আমিন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, ইএসএস এর চেয়ারপারসন প্রফেসর ওয়াশিকুর রহমান খান, প্রফেসর সৈয়দ এ মামুন, এবং অফিস অব কমিউনিকেশন্সের ডিরেক্টর খায়রুল বাশার।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের ইনক্লুসিভ ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ইকরামুল এইচ সোহেল; সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন; প্রোগ্রেস প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর সায়েদুল আরেফিন; সিনিয়র অফিসার নওশীন আনজুম; এবং সিনিয়র অফিসার সৈয়দা সুহাইমা আহমেদ।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্টের এই চুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টির জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এসডিজি-৪ (গুণগত শিক্ষা), এসডিজি-৮ (সম্মানজনক কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি), এসডিজি- ৯ (শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো), এসডিজি-১২ (দায়িত্বশীল উৎপাদন ও সদ্ব্যবহার) এবং এসডিজি-১৭ (লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদারিত্ব) অর্জনে অবদান রাখবে।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও