• শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

শেরপুরে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা ও ছিনতাই

প্রভাত রিপোর্ট / ৪৬ বার
আপডেট : সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

মো. নমশের আলম, শেরপুর : শেরপুর সদর উপজেলার তাতালপুর মির্জাপুর এলাকায় ধানক্ষেত থেকে আব্দুল লতিফ ওরফে কালা (৪৭) নামের এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে স্থানীয়রা রাস্তার পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত আব্দুল লতিফ সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরি কাটাজান গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত আব্দুল মালেক ওরফে গেন্দা দোকানদারের তৃতীয় ছেলে। তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ের জনক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮টার দিকে তাতালপুর-মির্জাপুর সড়কের পাশে ধানক্ষেতে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে তারা পুলিশে খবর দেয়। মরদেহের গলায় রশি পেঁচানো ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর কুমরি কাটাজান গ্রামে পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। প্রতিবেশীরা জানান, গত ২০ বছর ধরে আব্দুল লতিফ অটোরিকশা চালিয়ে পরিবার চালাতেন। পরিবারে আর কেউ কর্মক্ষম নেই। তার মৃত্যুর খবরে একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
নিহতের ছোট ভাই মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকাল ৪টার দিকে ভাই অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১টার দিকে জামতলি মোড়ে শেষবারের মতো তার সঙ্গে দেখা হয়। এরপর আর ফিরে আসেননি। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে ফেসবুকে ছবি দেখে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করি। আমরা নিশ্চিত, তাকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়েছে। সদর থানার ওসি (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “মরদেহের গলায় রশি পেঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও