• সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০১:১০ পূর্বাহ্ন

জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী, এদের পেছনে নামাজ হয় না: বিএনপি নেতা হাবিব

প্রভাত রিপোর্ট / ৪ বার
আপডেট : রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

প্রভাত সংবাদদাতা,পাবনা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াতের কোনও মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনও ইমাম নামাজ পড়াতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত-শিবির যে একশটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’শনিবার (১৭ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এদিন বিকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আটঘরিয়ায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তো নেবেই। তার সঙ্গে আমার কোনও দ্বিমত নেই। কিন্তু আমি আজকে বলবো, ভবিষ্যৎ তো পরে। আটঘরিয়ায় কোনও মসজিদে জামায়াতের কোনও মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনও ইমাম ইমামতি করতে পারবে না। গত শুক্রবার দেবোত্তর বাজার জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে পারেনি মানুষ। তালা দিয়ে পালিয়েছে। কতটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। হাবিব বলেন, ‘তারা মিথ্যা কথা বলে। এদের পেছনে নামাজ হয় না। এরা স্বাধীনতাবিরোধী রগ কাটা গ্রুপ। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। পাকিস্তানের দোসর ছিল। তাই আটঘরিয়াবাসীকে আহ্বান জানাবো এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’
জামায়াতের অফিসে কোরআন ও হাদিস পোড়ানোর বিষয়ে হাবিব বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা কোরআন পোড়ায়নি। তারা (জামায়াত) নিজেরাই কোরআন পুড়িয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কোরআন পোড়াতে পারে না—এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। যদি বিএনপির নেতাকর্মীদের কোরআন পোড়ানোর ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেন তাহলে সমস্ত দায়দায়িত্ব আমি নেবো। আর আমাদের যে একশটি মোটরসাইকেল ভাঙছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাদের।’
এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা নকীবুল্লাহ বলেন, ‘হাবিব সাহেব বিএনপির একজন দায়িত্বশীল হয়ে আজান-ইমামতি নিয়ে এত বড় একটি ন্যক্কারজনক বক্তব্য দিয়েছেন এটার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিথ্যা কথা বলে তিনি নাটক রচনা করতেছেন।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আটঘরিয়ার সব অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আওয়ামী স্টাইলে দখল করেছে। এ ছাড়াও প্রতিটি জায়গায় ব্যাপক চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। এসবের বিরোধিতা করাই আমাদের কাল হয়েছে। নামাজরত অবস্থায় বিএনপির এসব সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর গুলি করেছে। ঈশ্বরদী থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে আমাদের উপর সশস্ত্র হামলা করেছে। আমাদের অফিস পুড়িয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি কোরআন শরিফও পুড়িয়েছে। আমাদের লোকজনের দোকানপাট-বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। গত পরশু জুমার নামাজ পড়তে দেয়নি বিএনপির লোকজন। মসজিদে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে ইমামকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।’
উল্লেখ্য, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের নির্বাচনে জামায়াত নেতাদের ফরম তুলতে বাধা দিয়ে বের করে দেন বিএনপির নেতারা। এ ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পর উপজেলা বিএনপির নেতা আলমের অফিস ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা জামায়াতের অফিসে ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। অফিস লক্ষ্য করে রাত ৯টার দিকে গুলি করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় একে অপরের ওপর দোষারোপ করেছেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও