• বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

৪১ বছর পর টটেনহামের ইউরোপিয়ান শিরোপা জয়

প্রভাত রিপোর্ট / ৪৫ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

প্রভাত স্পোর্টস : ম্যাচের বয়স ৯৬ মিনিট। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রাইটব্যাক দিয়েগো দালোতের একটা মাপা ক্রস গেল টটেনহামের বক্সে। অভিজ্ঞ লুক শ হেডও নিয়েছেন ঠিকঠাক। কিন্তু স্পার্স গোলরক্ষক ভিকারিও এদিন যেন পণ করেছিলেন বলকে জালে জড়াতে দিবেন না। দারুণ একটা সেইভ। স্যান মামোস স্টেডিয়ামে স্পার্স ভক্তদের গর্জন শোনা গেল আরও একবার। কিংবা তারও আগে, খেলার বয়স যখন ৬৮ মিনিট। রাসমুস হয়লুন্দের হেডে গোল হজম করেই ফেলেছিল টটেনহাম। কিন্তু মিকি ভ্যান দে ভ্যান অবিশ্বাস্য এক গোল লাইন ক্লিয়ারেন্স করে দলকে বিপদমুক্ত করেছেন। বড় এসব মুহূর্তটাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে বুধবার রাতের ইউরোপা লিগের ফাইনালে। ৪২ মিনিটে ব্রেনান জনসন গোল করেছেন স্পার্সদের হয়ে। এরপর পুরোটা সময় নর্থ লন্ডনের ক্লাবটা প্রমাণ করে গেল, রক্ষণ করাটাও ফুটবলের এক অনন্য সৌন্দর্য্য। ১-০ গোলের জয়ে টটেনহাম জিতল ইউরোপা লিগ শিরোপা। ২০০৮ সালের পর থেকে যেটা তাদের প্রথম শিরোপা। সঙ্গে ৪১ বছর পর আবার ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন।
টটেনহ্যাম সবশেষ কোনো শিরোপা জিতেছিল ২০০৭-০৮ মৌসুমে। ঘরোয়া লিগ কাপ জিতেছিল তারা। আর সবশেষ ইউরোপিয়ান ট্রফি জিতেছিল ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে। সেটা ছিল উয়েফা কাপ। আজকের দিনে যার নাম উয়েফা ইউরোপা লিগ। ৪১ বছর ফের ইউরোপার শিরোপা জিতে স্পার্সরা নিশ্চিত করল, আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলছে তারা।
স্পেনের বিলবাওয়ে ফাইনালে নামার আগে পুরো আসরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। পুরো আসরেই উপহার দিয়েছিল দুর্দান্ত ফুটবল। কিন্তু ফাইনালেই যেন নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হল তারা। শুরু থেকেই বেশ হতাশায় ডুবেছে রুবেন আমোরিমের দল। তবে ম্যাচের লাগামটা ছিল তাদেরই হাতে। স্পার্সদের খেলা ছিল আরও খানিকটা দৃষ্টিকটু। যদিও ৪২ মিনিটে গোলটা আদায় করেছিল তারাই। বাঁ দিক থেকে পাপে সারের ক্রসে ছয় গজ বক্সে ব্রেনান জনসন পা ছুঁয়েছিলেন। বলটা ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শর গায়ে লেগে জালের দিকেই যাচ্ছিল। তবে জনসন আরেকবার পা ছুঁইয়ে গোল নিশ্চিত করেন।
৫৮তম মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রসে লেনি ইয়োরোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক গুইলেলমো ভিকারিও। পাঁচ মিনিট পর টটেনহ্যামের ডমিনিক সোলাঙ্কিও হারান ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ। ৬৮তম মিনিটে এলো ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়া সেই গোল লাইন ক্লিয়ারেন্স। গোললাইনে অনেকটা লাফিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে সেইভ করেন মিকি ভ্যান দে ভ্যান। স্পার্স সমর্থকরা বহু বছর মনে রাখবেন এমন এক সেইভ। ওই একটা সেইভের পরেই মূলত আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে টটেনহাম। ৭২তম মিনিটে ফার্নান্দেজের হেড আর ৭৪ মিনিটে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর প্রচেষ্টাও ব্যর্থ করে দেন স্পার্স গোলরক্ষক ভিকারিও। একেবারে অন্তিম সময়ে ক্যাসেমিরোর ওভারহেড কিক সাইডনেটে আঘাত করে। সেটাই নিশ্চিত করে স্পার্সদের শিরোপা উৎসব।


আপনার মতামত লিখুন :
এই বিভাগের আরও