প্রভাত রিপোর্ট : শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পুলিশকে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিচারপতি মুস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। আদেশে হাইকোর্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। বলেছেন, সব নাগরিকের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণের অধিকার আছে। পুলিশকে পিআরবি (বাংলাদেশ পুলিশ প্রবিধান) মানতে হবে।
আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষ বলেছেন, “তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে বাংলা ছাড়ার জন্য এবং তারা একদফা আন্দোলনের বক্তব্য রেখেছেন। মিডিয়াতে এগুলো আসছে।
তিনি বলেন, “তারা চান যে, একদফা আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকার গঠন করার জন্য তারা প্রস্তাব দিয়েছেন। একজন পিটিশনার, তিনি বক্তব্য রেখেছেন যে তারাই সরকার কী রকম হবে সেটা ফর্ম (নির্ধারণ) করে দেবেন। এখানে যে একজন আইনজীবী রয়েছেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, তিনিও কিন্তু উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন সে সরকারে। এসব মিলে এই রিপ্রেশনটি পলিটিক্যালি মোটিভেটেড। একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য, একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আদালতকে ব্যবহার করার জন্য এই নির্দেশনাটি ব্যবহার করা হয়েছিল। এটা পলিটিক্যালি মোটিভেটেড হিসেবেই খারিজ করা হয়েছে।”
এর আগে গত ৩১ জুলাই বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ছুটি নেওয়ায় শুনানি হয়নি। পাঁচ দিন পর রবিবার সকালে শুনানি হয়। ওই বেঞ্চের আজকের কার্যতালিকায় ১০ নম্বরে ছিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর-আল-মতিন এবং আইনুন্নাহার সিদ্দিকার করা এ রিট মামলাটি।
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালাতে এবং ৬ সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় করা রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছিল।
প্রভাত/টুর