প্রভাত রিপোর্ট : ক্ষমতার পালাবদলে পুলিশে ব্যপক রদবদলে ঢাকা মহানগরের সব থানার ওসিকে সরিয়ে দেয়ার পর এবার শূন্যস্থান পূরণ করা হচ্ছে। পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ১৩ জন কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার ওসি হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন থানায় বদলি করেছেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। গত ১৩ অগাস্ট ও ১৮ অগাস্ট ২ ধাপে ডিএমপির সব থানার ওসিকে সরিয়ে দেয় পুলিশ সদর দপ্তর। প্রথমে ১৮ জন ও পরে ৩২ জনকে বদলি করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে পাঠানো হয়। কয়েকজনকে পাঠানো হয় ট্যুরিস্ট পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও শিল্পাঞ্চল পুলিশে। যেখানে তাদের আর থানায় ওসির মত কমান্ড পাওয়ার থাকছে না।
নতুন দায়িত্ব পাওয়া ওসিদের মধ্যে মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জাকে দক্ষিণখান থানায়, মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে পল্লবী থানায়, মো. তৌহিদ আহম্মেদকে গুলশান থানায়, মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামকে ভাটারা থানায়, মুহাম্মদ আজহারুল ইসলামকে খিলক্ষেত থানায়, গোলাম ফারুককে রমনা থানায়, মোল্লা মো. খালিদ হোসেনকে পল্টন থানায় ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া মো. সাইফুল ইসলামকে বাড্ডা থানায়, এরশাদ আহমেদকে বিমানবন্দর থানায়, মুহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে মিরপুর মডেল থানায়, মো. মোবারক হোসেনকে তেজগাঁও থানায়, মো. হাফিজুর রহমানকে উত্তরা-পশ্চিম থানায় এবং মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে ধানমন্ডি থানার পাঠানো হয়েছে ওসির দায়িত্ব দিয়ে। মুহাম্মদ আজহারুল ইসলামকে শাহবাগ থানায় পাঠানোর কথা বলা হলেও পরে তাকে খিলক্ষেত থানার দায়িত্ব দিয়ে তার ক্ষেত্রে আগের বদলির আদেশটি বাতিলের কথা বলা হয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট সরকারের পতন হলে শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ দেয়া পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পরদিন চাকরি থেকে বাদ দেয়া হয়। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট মো. ময়নুল ইসলামকে। ৭ অগাস্ট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক হারুন-অর-রশিদকে সরিয়ে পুলিশের এই এলিট ফোর্সের নেতৃত্বে আনা হয় অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমানকে। পুরো পুলিশ বিভাগই এখন বড় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠানো হয়েছে।