রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Proval Logo

দেশে গ্যাস সংকট কাটেনি এখনও

প্রকাশিত - ২৩ আগস্ট, ২০২৪   ০৮:২৬ পিএম
webnews24

প্রভাত রিপোর্ট  : দেশের চলমান গ্যাস সংকট যায়নি এখনও। গ্যাসের অভাব জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। রাজধানী ও অন্যান্য মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় গত দেড় মাস যাবৎ গ্যাস সংকট চলছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস সংকট সুরাহা করার। জানা যায়, গ্যাসের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দৈনিক দেড় হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ঘাটতি থাকায় গড়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ঢাকা শহরের অনেক এলাকায় গ্যাসের অভাবে গৃহিণীদের দৈনন্দিন রান্নার কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেড় মাস ধরে চলে আসা এ অবস্থার কিছু উন্নতি হয়েছে অতি সম্প্রতি। স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আরো কিছুদিন লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
প্রলঙ্করী ঘূর্ণিঝড় রেমালে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত টারমিনালটি চালু হলে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। দৈনিক সাড়ে ৬০০ এলএনজি এখান থেকে সরবরাহ করা হতো; যা ২৭ মে থেকে বন্ধ হয়ে যায়। দুটো টারমিনালে দৈনিক ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ টারমিনালটি সিঙ্গাপুর থেকে মেরামত শেষে ফেরত আসেনি এখনও। আনোয়ারা ও ফৌজদারহাটে ৪২ ইঞ্চি পাইপ লাইন দুর্ঘটনা কবলিত হয়। টারমিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্যাস সরবরাহ কমে আসে। ক্রমে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও তা স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি এখনও। রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ লাইন পুনর্বাসন করা হলেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সিলেটের গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন এখনও স্বাভাবিক মাত্রায় আসেনি। যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী করা সম্ভব হচ্ছে।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। যার ফলে রান্নাবান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সিএনজি স্টেশনগুলোতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহে ঘাটতি এখনও কাটেনি। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়া হয় অপেক্ষাকৃত অধিক সময়। অপরদিকে গ্যাসের অভাবে শিল্পখাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি, টেক্সটাইল মিল, গার্মেন্টস এর স্পিনিং, ইউভিং, ডাইং প্রিন্টিং, ফিনিসিং মিলের উৎপাদন কমিয়ে আনতে হয়েছে। দু’সপ্তাহ আগেও এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এখন অবশ্য সে তুলনায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে স্বাভাবিক হয়নি।
পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ এখনও চাহিদা অনুয়ায়ী সবাইকে গ্যাসের সরবরাহ দিতে পারছে না। কেস টু কেস স্টাডি করে গ্যাস দেয়া হচ্ছে। সিরামিক উৎপাদন ও রফতানিকারক সমিতি এবং টেক্সটাইল মিল মালিকরা গ্যাসের অভাবে গত জুনের মাঝামাঝি উৎপাদন অর্ধেক পরিমাণে কমিয়ে দিতে বাধ্য হন। এতে সুতা ও কাপড়ের উৎপাদন কমে যায়। তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহের নিশ্চয়তা চেয়েছেন। কর্তৃপক্ষ এখনও তাদের চাহিদা অনুয়ায়ী গ্যাসের সরবরাহ দিতে পারছেন না। তবে তারা গভীরভাবে আশাবাদী যে, এ মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন