জিহাদ হোসেন রাহাত, রায়পুর : হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও মুসলিমদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের অভি সঞ্জয়। মা-মনি স্পেশালাইড হসপিটালের (প্রা) পরিচালক পদে রয়েছেন তিনি। অব্যহত বন্যা পরিস্থিতিতে শুকনো খাবার মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে কুড়িয়ে নিচ্ছেন সুনাম। গত পাঁচদিনে জেলায় অতিবৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ে রায়পুর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা। চুলো জ্বালিয়ে খাবার রান্না করতে পারেনি প্রায় ২৫ হাজার পরিবার।
পরিস্থিতি বিবেচনায় কে কোন ধর্মের সেদিকে না তাকিয়ে গত বুধবার থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন অভি। মানবিক কাজের অংশ হিসেবে খোদ রায়পুরেই বিলিয়েছেন অগণিত উপহারের প্যাকেট। চিঁড়া, মুড়ি,চানাচুর,মোম, টোস্ট বিস্কুট, কাঁচা বাদাম, মশার কয়েল, খাওয়ার স্যালাইন, নাফা ট্যাবলেট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট উপহার পেয়ে বাসাবাড়ি এলাকার রহিমা আক্তার (৩৮) বলেন, অন্যের বাসায় কাজ করতাম। ঘর ডুবে গিয়েছে বন্যায়। ঘরে খাওয়ার কিছুই ছিলো না। চুলোও এক বুক পানিতে। অভি দাদাভাই উপহার পাঠিয়েছেন। আমি উপকৃত হয়েছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আত্ম মানবতার সেবায় বন্যাকালীন সময়ে স্ব পরিচালিত হাসপাতালে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছেন অভি। তিনি বলেন, কে কোন ধর্মের দেখার বিষয় না। সবাই মানুষ। আমার হাসপাতাল সাধ্যমতো সেবাদানে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত। খাদ্য সামগ্রী উপহার দিচ্ছি মানুষকে। কোনো মুসলিম নয়, কোনো হিন্দু নয়- আমি বিপদে পড়া মানুষদের খুঁজে বের করে পাশে দাড়াচ্ছি। অভির সম্প্রীতির স্বাক্ষর ও ধর্ম বর্ণের উর্ধ্বের মনোভাব দেখে মতামত ব্যক্ত করে স্থানীয় সাংবাদিক নেতা এম আর সুমন বলেন, রীতিমতো অবাক হয়েছি। তিনি যে সেবামূলক কাজ করছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। এটিই মূলত অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত।