প্রভাত রিপোর্ট : নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব কামরুল হাসান। সার্বিকভাবে ১১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হচ্ছে না এবং হওয়ার আশঙ্কা নেই।
উজানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যায় দেশের ১১ জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৯ পরিবার। তবে রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সচিব জানান, পানি নেমে যাওয়ার পর অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব হতে থাকে। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক করেছি, প্রত্যেককে নিরাপদ পানি ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার একটি হিসাব খোলা আছে সেখানে যদি কেউ কিছু দিতে চান সেটি অব্যাহত আছে।
তিনি জানান, ফেনীতে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে যে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক অথবা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বন্যা আক্রান্ত এলাকা থেকে যারা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসবে তাদের প্রত্যেকের যেন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে।
নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে
দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ফলে নদীগুলোর পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মেঘনা নদী ছাড়া দেশের প্রধান নদীগুলো গতকাল রবিবার সকালে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (এফএফডব্লিউসি) তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদীর ১৪টি পর্যবেক্ষণ পয়েন্টে সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল।
গঙ্গা নদীর পানির স্তর দুটি পয়েন্টে বেড়েছে, তবে চারটি পয়েন্টে এটি এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। পদ্মা নদীর চারটি পয়েন্টেও পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মেঘনা নদীর সব পয়েন্টে পানির স্তর কমেছে এবং তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মেঘনা ব্রিজ পয়েন্টে নদীটি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা এবং করতোয়া নদীগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে পানির স্তর বৃদ্ধি পেলেও, এগুলো এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। এফএফডব্লিউসি পর্যবেক্ষণকৃত ১১৬টি পয়েন্টের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭টি পয়েন্টে পানির স্তর বেড়েছে, ৮৪টি পয়েন্টে কমেছে এবং ৫টি পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে।