রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Proval Logo

স্থিতি আসেনি ব্যবসা-বাণিজ্যে

প্রকাশিত - ২৫ আগস্ট, ২০২৪   ০৯:০৮ পিএম
webnews24

প্রভাত রিপোর্ট : ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় ৮ আগস্ট। জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের প্রথম দুই সপ্তাহ আন্দোলন-পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়েই কেটেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় ব্যবসায়ীরাও অনেকে ছন্নছাড়া। রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মুহূর্তে আবার হানা দিলো ভয়াবহ বন্যা। সব মিলিয়ে স্থিতিশীলতা আসছে না দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে। আন্দোলন শুরুর আগেও ভোগাচ্ছিল গ্যাস সংকট। এসব সংকট কিছুটা কাটিয়ে উৎপাদনে ফিরেছে কারখানাগুলো। তবে আগের গতানুগতিক সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেশকিছু নতুন সমস্যা। এখনো কাঁচামাল সংগ্রহ ও দেশব্যাপী পণ্য সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। খুব বেশি বাড়েনি বেচাকেনাও। পাইকারি বাজারে বরং বেচাকেনা কমেছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারনির্ভর পণ্য সরবরাহকারী বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কারখানার উৎপাদন শুরু হলেও আমদানি হওয়া কাঁচামাল আসা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। কাঁচামাল সংকট রয়েছে। এছাড়া বিক্রি কমে যাওয়া, ডলারের ঘাটতি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট, ব্যাংকখাতে অস্থিতিশীলতা এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণের অভাবের কারণে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তারা।
চলমান পরিস্থিতিতে নানা ধরনের সমস্যার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। কোনো কোনো ব্যবসায়ী বলেছেন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে দেশে বেশ কিছু শিল্পগ্রুপের কারখানা এখন বন্ধ। সেসব কোম্পানির পণ্য সরবরাহ হচ্ছে না। যার প্রভাব বাজারে পড়ছে। আবার যেসব কোম্পানি স্বাভাবিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের পণ্য সরবরাহকারী অনেক পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের মালিকও বিগত সরকারের রাজনৈতিক সুবিধাভোগী হওয়ায়, এখনো তারা ব্যবসায় ফিরতে পারেননি। ফলে সারাদেশে পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে কিছু কোম্পানির। সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও তাদের পরিবেশকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তারাও তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালাতে পারছেন না।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালানোর পর দেশজুড়ে সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর ও লুট হয়। ঢাকার বেক্সিমকোসহ আরও কয়েকটি কোম্পানির এলপিজি গ্যাসের পরিবেশক একজন ব্যবসায়ী পরিচয় গোপন রাখার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের এমন একটি পরিস্থিতি যে, কোন কোম্পানি থাকবে আর কোনটা থাকবে না এ শঙ্কায় ভুগছি। বড় কোনো লেনদেনের সাহস হচ্ছে না। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে যতটুকু নয় সেটুকু করছি। তবে কয়েকটি কোম্পানির ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছি, যাদের সঙ্গে বড় বিনিয়োগ রয়েছে।
এখন ভোগ্যপণ্যের বাজারের কী অবস্থা- এমন প্রশ্নের জবাবে মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো. আলী ভুট্টো গণমাধ্যমকে বলেন, এস আলম বাজারে নেই। এটা একটি সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা এখন। সার্বিক তেল-চিনিসহ বেশকিছু ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজারে তাদের বড় শেয়ার ছিল। এর একটি প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, এজন্য মাসখানেক হয়তো সমস্যা হবে। তবে এর মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো বেশি বেশি পণ্য দিয়ে কাভার করবে। তবে এস আলমের ব্যবসা পলিসি বিগত সরকারের সময় বহুল সমালোচিত ছিল। ফলে এ সংকট এখন সমস্যা মনে হলেও মোটাদাগে ভালো। পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের এখন বাড়তি চাপে পণ্য পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মিলছে না। এ কারণে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে। আবার সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রমের কারণে অর্থ লেনদেনেও সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন