প্রভাত ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে বিমানঘাঁটি তৈরি এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অংশবিশেষ নিয়ে নতুন একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চক্রান্তের বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, অভিযোগের ইঙ্গিত সুস্পষ্ট নয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ নিয়ে কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দাবি করেছেন, ‘একটি দেশকে’ বঙ্গোপসাগরে বিমানঘাঁটি করতে দিলে কোনও ঝামেলা ছাড়াই আবারও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাদা চামড়ার একজন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা কী এসব অভিযোগের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই ছুঁড়ছেন?
জবাবে মিলার বলেন, আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে, এই মন্তব্যগুলো কাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আমি শুধু বলব, এই অভিযোগ সঠিক নয়। উল্লেখ্য, গত ২৩ মে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে রাজি হইনি। শক্তিশালী দেশটি সেই সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় বসার মতো দৈনতায় ছিলাম না কখনও। বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানাতে দিলে, কারও কারও নির্বাচনে জিততে কোনও সমস্যা নেই- এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো কিন্তু রাজি হইনি আমি। বে অব বেঙ্গলে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ঘাঁটি বানাবে। ভারত মহাসাগরের এই শান্তিপূর্ণ জায়গাটার ওপর তাদের নজর। এখানে বেজ বানিয়ে তারা কোথায় হামলা করতে চায়? আমি এটা করতে দিচ্ছি না বলেই খারাপ।'
প্রভাত/আসো