প্রভাত বাণিজ্য : সাম্প্রতিক বন্যায় পানিতে ডুবে ৪টি জেলায় অন্তত ৪ হাজার পোল্ট্রি খামারি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। মারা গেছে খামারের সব মুরগি। এতে করে ক্ষতি হয়েছে ৫৬৭ দশমিক ৫ কোটি টাকা। ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের সহযোগিতা না পেলে সংকটে পরবে দেশের ডিম ও মুরগির বাজার। কারণ আকস্মিক বন্যার ব্যাপারে কারো কোন ধারণা ছিলো না। যার কারণে কোনো খামারিই আগে ভাগে মুরগি সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়নি।
বিপিএ সভাপতি বলেন, বন্যায় কেমন ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে জানতে গত ২৮, ২৯, ৩০ আগস্ট কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর (৪ জেলা) খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তথ্য অনুযায়ী এই ৪টি জেলায় খামারির সংখ্যা ৮-৯ হাজার।
এর ভেতরে বন্যায় সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন ৪ হাজার প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি। তারা সবাই এখন দিশেহারা। ডিম মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখতে সবার আগে বন্যায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া খামারিদের পুনর্বাসন জরুরি। কারণ, পোল্ট্রি সেক্টরের চাহিদার ৮০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করেন প্রান্তিক খামারিরা। বন্যার পানিতে কি পরিমাণ মুরগি মারা গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪ জেলায় ডিম পাড়া লেয়ার মুরগি মারা গেছে প্রায় ৫ লাখ। যার বাজার মূল্য ৪০ কোটি টাকা। ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে ৪০ লাখ। যার বাজার মূল্য ৯৬ কোটি টাকা। সোনালি মুরগি মারা গেছে ৩০ লাখ। যার বাজার মূল্য ৭২ কোটি টাকা। মুরগির বাচ্চা মারা গেছে প্রায় ১৫ লাখ। যার বাজার মূল্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। একইসঙ্গে মুরগির খাবার নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টন যার বাজার মূল্য ৩৫ কোটি টাকা। আবার ৪ হাজার খামারে জিনিসপত্র ও স্থাপনা নষ্ট হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমাণ ৩২০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ৪ জেলায় মোট ক্ষতির পরিমাণ ৫৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে ভর্তুকি মূল্যে ফিড, মুরগির বাচ্চা ও ভ্যাকসিনসহ নগদ প্রণোদনা ও জামানত বিহীন ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।